মোটা বলে কাউকে অবহেলা করার কারণে অসময়ে ওই ব্যক্তির উপর মৃত্যু ঘনিয়ে আসতে পারে, এমনটাই দাবি করছে নতুন এক গবেষণা । তবে এই অকাল মৃত্যু কারণ বাড়তি ওজন নয়, কারণটা বাড়তি ওজনের কারণে অবহেলার শিকার হওয়া।
এবিষয়ে পুর্ববর্তী গবেষণাগুলো ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, ওজন কমানো নিয়ে কাউকে উত্যক্ত করাটা দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে ওই ব্যক্তির উপর বিপরীত প্রভাব ফেলে। নতুন এই গবেষণা বিষয়টি প্রমাণ করেছে।
নতুন গবেষণার একজন গবেষক, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ মেডিসিনের বিহেইভিয়ারাল সাইন্স এবং সোশাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক অ্যাঞ্জেলিনা সাতিন বলেন, “বডি ম্যাস ইনডেক্স যাই হোক, কারও ওজন নিয়ে বিদ্রুপ করার সঙ্গে তার মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে।”
গবেষণার জন্য গবেষকরা কয়েকটি পৃথক গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ১৮ হাজারের বেশি মানুষের তথ্য পর্যালোচনা করেন। ওজন নিয়ে যারা বিদ্রুপের শিকার হযেছেন এবং যারা বিদ্রুপের শিকার হননি তাদের মধ্যে তুলনা করেন।
গবেষকরা দেখেন, ওজন নিয়ে যারা বৈষম্যের শিকার তাদের গবেষকদের নজরদারিতে থাকাকালেই মৃত্যুর সম্ভাবনা ছিল ৬০ শতাংশ
কলেজ অফ মেডিসিন’স ডিপার্টমেন্ট অফ জেরিয়াট্রিকসের সহযোগী অধ্যাপক অ্যান্তোনিয়ো তিয়েররাচ্চানো বলেন, “আমাদের জানা মতে, এবারই প্রথমবারের মতো দেখানো হলো যে ওজন বৈষম্যের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে।”
সাতিন বলেন, “কিছু মানুষ মনে করেন, মানুষকে তার ওজন নিয়ে বিদ্রুপ করলে সে হয়ত কষ্ট পাবে। তবে এটি তাকে ওজন কমাতে অনুপ্রাণিত করবে, তার জীবন বাঁচাবে।”
সাতিন ব্যাখ্যা করেন, “হিতে বিপরীতও হতে পারে। মানসিক চাপের পাশাপাশি ওয়েইটিজমের কারণে ওজন বাড়ার এবং অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ায়।”
সাতিন আরও বলেন, “আমাদের গবেষণা পরিষ্কারভাবে দেখিয়ে দেয় যে বিদ্রুপ করার এই পদ্ধতি কোনো কাজে আসে না। বরং এর আছে জটিল পরিণতি।”
সাইকোলজিকল সাইন্স নামক জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।
ছবি: রয়টার্স।