হৃৎযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে এবং রক্তনালীর উপর বার্ধক্যের প্রভাব কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে কোকো বিনে থাকা একধরনের বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান কোকো ফ্লাভানল্স, এমনটাই জানা গেছে দুটি গবেষণায়।
বয়স বাড়ার সঙ্গে আমাদের রক্তনালীর সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা কমে আসে এবং স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণে প্রসারিত হওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। পাশাপাশি বেড়ে যায় উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কাও।
রক্তনালী শক্ত হয়ে যাওয়া এবং কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক রয়েছে। যা বিশ্বের প্রধান মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত।
জার্মানীর ডুসেলডর্ফ ইউনিভার্সিটি হসপিটালের অধ্যাপক মাল্টে কেল্ম বলেন, “আমরা দেখেছি যে, সু্স্থ্য হৃদযন্ত্রের কয়েকটি লক্ষণকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো রাখে ফ্লাভানল্স।”
কোকো-ফ্লাভানল্স হল কোকো বিনের একটি উদ্ভিদভিত্তিক বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান।
দুটি গবেষণার প্রথমটিতে অংশগ্রহণ করে ২২ জন তরুণ (৩৫ বছরের কম বয়সি) এবং ২২ জন বয়স্ক (৫০ থেকে ৮০ বছর বয়সি) পুরুষদের দুটি দল। যারা দুই সপ্তাহব্যপি দৈনিক দুইবার ফ্লাভানলযুক্ত পানীয় অথবা ফ্লাভানল নেই এমন পানীয় পান করেছেন।
গবেষকরা পরে হৃদযন্ত্রে বয়সের প্রভাব যেমন রক্তনালী শক্ত হয়ে যাওয়া, রক্তচাপ, ফ্লো-মিডিয়েটেড ভ্যাসোডায়ালেইশন বা নাইট্রিক অক্সাইডের কারণে রক্তনালী কতটুকু প্রসারিত হতে পারে ইত্যাদির সঙ্গে ফ্লাভানলের সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ করেন।
তারা দেখেন, গবেষণা চলার সময়ে ফ্লাভানল গ্রহণকারী দুই বয়সি দলের ক্ষেত্রেই ভ্যাসোডায়ালেইশনের উন্নতি হয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। উন্নতির পরিমাণ তরুণদের ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ আর বয়স্কদের ক্ষেত্রে ৩২ শতাংশ।
পরিসংখ্যানগত এবং চিকিৎসাগতভাবে, বয়স্কদের দলটিতে রক্তচাপও কমতে দেখা গেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
৩৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি একশ জন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং হৃদরোগের আশঙ্কা কম এমন নারী ও পুরুষকে নিয়ে করা দ্বিতীয় এক গবেষণায়ও একই ফলাফল পাওয়া গেছে।
এইজ এবং দ্য ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশন (বিজেএন) নামক দুটি জার্নালে গবেষণাগুলোর ফলাফল প্রকাশিত হয়।