গবেষণায় ২০০৫ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময়ে জাপানের ৪৭টি জেলার বাসিন্দাদের উপর বিভিন্ন ধরনের কার্বোনেইটেড পানীয়ের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা হয়।
প্রধান গবেষক, জাপানের ফুকুওকা ইউনিভার্সিটির কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক কেইজিরো সাকু বলেন, “কার্বোনেইটেড পানীয় পান করার সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার উল্লেখযোগ্য এবং ইতিবাচক আশঙ্কা রয়েছে। যা ইঙ্গিত করে, মারাত্বক হৃৎপিণ্ডজনিত জটিলতার উপর পানীয় পানের অভ্যাসের প্রভাব আছে।”
সাকু আরও বলেন, “এই সম্পর্কের পেছনে কার্বোনেইটেড পানীয়তে থাকা অ্যাসিডের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব থাকতে পারে।”
গবেষণায় প্রায় আট লাখ রোগীকে যুক্ত করা হয়, যাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালের বাইরে হৃদসম্পর্কিত এবং সম্পর্ক ছাড়া ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয়েছেন।
কার্বোনেইটেড পানীয় কেনার খরচের উপর ভিত্তি করে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর উপর বিভিন্ন ধরনের পানীয় পানের প্রভাব বিষয়ক তথ্য সরবরাহ করা হয় জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম এবং কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে।
গবেষকরা দেখেন, কার্বোনেটেড পানীয় কেনার সঙ্গে হৃৎপিণ্ডজনিত সমস্যার উল্লেখযোগ্য সম্পর্ক আছে।
তবে গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি, কফি, কোকোয়া, ফল বা সবজির শরবত, দুধ ও দুগ্ধজাত পানীয় এবং সুপেয় পানির পেছনে খরচের সঙ্গে হৃৎপিণ্ডজনিত সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই।
কার্বোনেইটেড পানীয় পান করা কমানো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে, এমনটাই ইঙ্গিত দেয় গবেষণার ফলাফল।
লন্ডনের ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ কার্ডিওলজি (ইএসসি) কংগ্রেস ২০১৫তে গবেষণাটি উপস্থাপন করা হয়।
ছবি: রয়টার্স।