কয়েকটি সাধারণ পন্থায় শুষ্ক ত্বক পুনরুজ্জীবিত করা যায়।
ত্বকের সুস্থতায় এর আর্দ্রতা রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। না হলে দেখতে মলিন লাগে। দ্রুত বলিরেখা পড়ে।
নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই ক্লিনিকের প্রশিক্ষক ও ত্বক বিশেষজ্ঞ কার্মেন ক্যাস্টিলা বলেন, “শুষ্কতা ত্বকের সুরক্ষা স্তরের দুর্বলতার সংকেত দেয়। ত্বকের সুরক্ষার স্তর নষ্ট হয়ে গেলে জ্বলুনি ও সংবেদনশীলতা দেখা দেয়।”
আর এজন্য কয়েকজন ত্বক বিশেষজ্ঞ সাধারণ কিছু কৌশল অবলম্বন করার পন্থা জানান রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে।
‘স্কিন ফ্লাডিং’
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর প্রচলন খুব বেশি দেখা দিলেও অনেক আগে থেকেই এই ধারণার প্রচলন ছিল।
ডা. ক্যাস্টিলা বলেন, “ভেজা ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা হলে এর আর্দ্রতা বজায় থাকে। কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে আলতোভাবে ত্বক মুছে নিতে হবে। ভেজা অবস্থাতেই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।”
তেল ভিত্তিক ক্লেঞ্জার
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডার্মাডক্টর’য়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড প্র্যতয়িত ত্বক বিশেষজ্ঞ অড্রি কুনিন একই প্রতিবেদনে বলেন, “তেল ভিত্তিক ক্লেঞ্জার ত্বক পরিচর্যায় আর্দ্রতা বজায় রাখার অন্যতম সহজ উপায়।”
ভারী মেইকআপ, ময়লা ও তেল দূর করতে জেল বা ফোম ভিত্তিক ফেইসওয়াশের তুলনায় ভালো কাজ করে।
স্তরে স্তরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
ত্বকে আর্দ্রতা রক্ষাকারী উপাদান হিসেবে নানান প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে তা হালকা থেকে ভারী এমন অনুক্রমে ব্যবহার করতে হবে।
লস এঞ্জেলস’য়ের মেডিকেল এস্থেটিশিয়ান ক্যান্ডেস ম্যারিনো, রূপচর্চার ধাপগুলোর মধ্যে আর্দ্রতা রক্ষাকারী মিস্ট ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
স্কিন স্লাগিং
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য পাতলা করে পেট্রোলিয়াম জেলির প্রলেপ লাগিয়ে রাখা হল ‘স্লাগিং’।
এতে থাকা উপাদান ত্বকে সুরক্ষার স্তর হিসেবে কাজ করে। রাতে ত্বক পরিচর্যা শেষে, সর্বশেষ ধাপ হিসেবে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে ত্রিশ মিনিট অপেক্ষা করে ঘুমাতে যেতে হবে।
সপ্তাহে দুয়েক বার ত্বক এক্সফলিয়েট করা
ত্বকের আর্দ্রতায় এক্সফলিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্যাখ্যা করে ম্যারিনো বলেন, “এক্সফলিয়েট না করলে ত্বকে মৃত কোষ জমে থাকে। ফলে সেরাম ও ক্রিম ঠিক মতো কাজ করতে পারে না।”
মৃত কোষের ওপরে আর্দ্রতারক্ষাকারী উপাদান ব্যবহারে তা আরও ঘন হয়ে ওঠে এবং প্রসাধনীর অপচয় হয়। মৃত কোষ কখনই এসব প্রসাধনী শোষণ করতে পারে না।
তিনি, সপ্তাহে একবার মৃদু রাসায়নিক এক্সফলিয়েটর ব্যবহারের পরামর্শ দেন। খুব বেশি এক্সফলিয়েটর ব্যবহার ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। তাই ব্যবহারে সচেতন থাকতে হবে।
পায়ে ‘এএইচএ’ ক্রিম ব্যবহার করে মোজা পরে ঘুমানো
পা খুব বেশি শুষ্ক হলে এর সমাধান হিসেবে ডা কুনিন বলেন, “পায়ে ঘন করে ভারী লোশন, ক্রিম বা ১০% ‘আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড’ বা এএইচএ সমৃদ্ধ অয়েনমেন্ট মেখে গ্লাভস বা মোজা পরে ঘুমানো উপকারী।”
এই পণ্যগুলো ত্বক মসৃণ রাখে এবং ঢেকে রাখার ফলে আর্দ্রতার কারণে এক্সফলিয়েট করা ত্বকে ভালো ফলাফল দেয়।”
আরামদায়ক ঘুম
সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম কেবল চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে না বরং পা ফাটার সমস্যাও দূর করে।
ডা. ক্যাস্টিলা বলেন, “ঘুমের মধ্যে দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ফলে ত্বক পুনর্গঠিত হয়। অপর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের পুনর্গঠনের ক্ষমতা হ্রাস করে। সুরক্ষার স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও শুষ্কতার সমস্যা দেখা দেয়।”
এই সমস্যা সমাধানে প্রতি রাতে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন