পেটের সমস্যা নিরসনে ‘ফাংশনাল ফুড’

গ্যাস, অ্যাসিডিটি-সহ পেটের বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা কমানোর প্রাকৃতিক পন্থা হতে পারে ‘ফাংশনাল ফুড’।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2023, 11:38 AM
Updated : 26 April 2023, 11:38 AM

গ্যাস, পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটি- এই ধরনের নানান সমস্যায় উপকার পাওয়া যায় ‘ফাংশনাল ফুড’ গ্রহণের মাধ্যমে।

আমাদের দেশে প্রত্যেক ঘরে ঘরে অন্তত একজন মানুষ হলেও পাওয়া যাবে যিনি অ্যাসিডিটর সমস্যায় ভুগছেন। এরমধ্যে বেশিরভাগ রোগী বুক জ্বালা সমস্যায় ভুগেন।

বুক জ্বালা এবং অ্যাসিডিটি/ গ্যাস্টিকের মধ্যে কিছুটা সম্পর্ক থাকলেও বিষয়টি নিয়ে ভালোভাবে জানতে হবে।

এই বিষয়ে ‘অর্গানিক নিউট্রিশন লিমিটেড’য়ের ‘নিউট্রিশন অ্যান্ড সায়েন্টিফিক অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট’য়ের পুষ্টিবিদ ফারজানা আক্তার বলেন, “যাদের বুকজ্বলা বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা ‘জিইআরডি’ রোগ আছে, তাদের পাকস্থলী থেকে কিছুটা অ্যাসিড গলার কাছে চলে আসে।”

বিশ্বের ১৪ শতাংশ মানুষ গলা-বুক জ্বালাপোড়া বা ‘গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (জিইআরডি)’ উপসর্গে ভোগেন। ঢাকায় এই হার প্রতি পাঁচজনে একজন।

বিশ্বজুড়ে লাখো মানুষ এই যন্ত্রণাদায়ক সমস্যায় ভুগছেন। আর যারা এখনও এর মুখোমুখি হননি, তারাও আস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে ধীরে ধীরে এর দিকেই এগোচ্ছেন।

লক্ষণগুলো হল

১. বুকে জ্বালাপোড়া হয়। এই অনুভূতি অনেক সময়ই বুক থেকে গলা পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। ফলে মুখে টকস্বাদ পাওয়া যায়। ২. কোনো কিছু গিলতে সমস্যা হয়। ৩. বুকে ব্যথা হয়। ৪. টকবমিও হতে পারে।

বর্তমানে আরেকটি অতি পরিচিত সমস্যা হল আইবিএস।

যারা জিইআরডি’তে ভোগেন তাদের আইবিএস’য়ে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ চার গুন বেশি।

আইবিএস বা ‘ইরিটেইবল বাউয়েল সিনড্রম’ আসলে দীর্ঘমেয়াদি পেটের পীড়া। অনেকদিন ধরে রোগীরা এই সমস্যায় ভোগেন। এর লক্ষণ মাঝে মাঝে পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা, মল ত্যাগের ধরন পাল্টে যাওয়া, পেট মোচড় দেওয়া, ইত্যাদি সমস্যা হয়।

মলের ধরনও পাল্টে যায়। হয়ত আগে স্বাভাবিক পায়খানা হত এখন বেশি নরম হয়ে যাচ্ছে, অথবা বেশি শক্ত হয়ে যাচ্ছে। আইবিএস সম্পূর্ণ নির্মূল সম্ভব না। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।

জিইআরডি এবং আইবিএস- দুই ক্ষেত্রে কিছু দিন ওষূধ খাওয়ার পর আর কাজ করতে চায় না। এছাড়া দীর্ঘ দিন অষুধ সেবনের পর দেখা যায় বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

তাই বিভিন্ন দেশ এর বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক সমাধান খুঁজছে। বাংলাদেশও এতে পিছিয়ে নেই।

এই প্রথম বাংলাদেশে ‘অর্গানিক নিউট্রিশন লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ‘কারকুমা অর্গানিক হেলদি গাট’ নামক একটি ‘ফাংশনাল ফুড’ নিয়ে এসেছে যা জিইআরডি এবং আইবিএস- দুই ক্ষেত্রে কার্যকর সহায়ক ভুমিকা পালন করে।

এর প্রত্যেকটি উপাদান যেমন নিরাপদ তেমনি কার্যকারিতাও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। তাই কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ‘কারকুমা হেলদি গাট’ জিইআরডি এবং আইবিএস নিয়ন্ত্রণ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

এতে রয়েছে- অর্গানিক কারকিউমিনস, অর্গানিক টারমারিক, অর্গানিক মালবেরি, অর্গানিক জিঞ্জার অয়েল, অর্গানিক নাটমেঘ, অর্গানিক মেইস, অর্গানিক ব্ল্যাক পেপার, অর্গানিক মধু, অর্গানিক অ্যাপল সাইডার ভিনিগার, সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং পিউরিফাইড ওয়াটার।

এছাড়াও কারকুমা হেলদি গাট’য়ের বায়ো-অ্যাভেইলেবিলিটি বৃদ্ধির জন্য এর সাথে ‘অর্গানিক ব্ল্যাক পেপার’ নির্যাস সংযুক্ত করা হয়েছে।

উপকারিতা

‘কারকুমা অর্গানিক হেলদি গাট’য়ের মূল উপাদান হলো অর্গানিক কারকিউমিনস ও অর্গানিক মালবেরি নির্যাস। কারকিউমিনস এনজাইমের কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করে পাকস্থলীকে স্বাভাবিক রাখে ও পাকস্থলীর মিউকাস সিক্রেশন বাড়াতে সাহায্য করে। যা অ্যাসিডিটি সংক্রান্ত সমস্যায় সহায়ক ভূমিকা রাখে।

এছাড়াও এটি গ্যাস এবং ব্লোটিং বা পেট ফাঁপার সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। মালবেরিতে বিদ্যমান পলিফেনল উপকারী ব্যাক্টেরিয়া যেমন ‘বিফিডোব্যাক্টেরিয়াম’ এবং ‘ল্যাকটোব্যাসিলাস’য়ের বংশ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যা আমাদের ‘গাট ইকোলজি ব্যালেন্স’ করে।

ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্করা এই ‘ফাংশনাল ফুড’ গ্রহণ করতে পারবে। তবে গর্ভবতী/ প্রসূতী মায়েদেরে জন্য প্রযোজ্য নয়।