ইউরোপে যাওয়ার কয়েক মাস আগে ‘ডায়ারিও লা ক্যাপিটাল’ নামে এক পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মেসি, এটি তার জন্মস্থান সান্তা ফে প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর রোসারিওভিত্তিক স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম।
Published : 17 Dec 2022, 10:45 PM
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব, প্রস্তুতি নিচ্ছেন লিওনেল মেসি। ফুটবল ইতিহাসে ‘অমরত্বের’ পথে আর শুধু একটা ম্যাচ জয় বাকি তার, সেইসঙ্গে দেশের হয়ে শিরোপাটাও নিজের করে নিতে পারবেন।
বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে মেসিকে ছাড়া ফুটবল যেন ভাবাই যায় না। ইতোমধ্যে নাম লিখিয়েছেন পেলে-ম্যারাডোনাদের পাশে। তার যাত্রা শুরু বার্সেলোনা থেকে। খেলতেন মাতৃভূমি আর্জেন্টিনার ‘নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাবে’। ১৩ বছর বয়সে নিজের দেশ আর্জেন্টিনা ছেড়ে স্পেনের বার্সেলোনায় পাড়ি জমান মেসি।
ইউরোপে যাওয়ার কয়েক মাস আগে ‘ডায়ারিও লা ক্যাপিটাল’ নামে এক পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মেসি, এটি তার জন্মস্থান সান্তা ফে প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর রোসারিওভিত্তিক স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম। সাক্ষাৎকারটিকে বলা হচ্ছে মেসির ‘জীবনের প্রথম সাক্ষাৎকার’। বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে তার পেপারকাটিং আর্জেন্টিনা ও স্পেনজুড়ে আলোচনায় এসেছে।
লা ক্যাপিটালের সাক্ষাৎকারের শুরুতে একটি ভূমিকা দেওয়া হয়েছে। তা অনেকটা এমন- ‘লিওনেল মেসি দশম বিভাগের একজন আক্রমণাত্মক ফুটবলার। বর্তমানে তিনি নিওয়েলস অ্যাকাডেমিতে খেলছেন। মেসি খুব প্রতিভাবান খেলোয়াড়, তার সামনে রয়েছে সুন্দর ভবিষ্যৎ। এর কারণ শুধু তার উচ্চতা নয়, সে দুরন্ত গতিতে বল নিয়ে এগোতে পারে। ড্রিবলিং করার দারুণ দক্ষতা তার রয়েছে। তার সবচেয়ে বড়ো গুণ হল সে ফুটবল নিয়ে সময় কাটাতে ভালোবাসে। আর এটা ইতোমধ্যে সবাই জেনে গেছে’।
ওই সময়ে অখ্যাত কিশোর মেসির আশা, কল্পনা- এসব কেমন ছিল? কেমন ছিল ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর ফুটবলারের স্বপ্ন? তখন মাত্র একটি ক্লাবে যোগ দিয়েছেন ছোট্ট লিওনেল মেসি। চলুন পড়ে নেওয়া যাক পুরো সাক্ষাৎকারটি-
নায়ক: দুজন, আমার বাবা হোর্হে এবং আমার গডফাদার (দত্তক নেওয়া পিতা) ক্লডিও।
প্রিয় কোচ: সবাই, এখন পর্যন্ত যাদের পেয়েছি- গ্যাব্রিয়েল, মোরালিস, ডমিঙ্গেজ, ভেচ্চো এবং করিয়া। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই আমি কিছু না কিছু শিখেছি।
প্রিয় ফিটনেস কোচ: পাবলো সানচেজ।
প্রিয় খেলোয়াড়: দুজন, আমার ভাই আর আমার কাজিন।
প্রিয় দল: নিওয়েল’স।
প্রিয় শখ: গান শোনা।
যে ধরনের গান প্রিয়: কোয়ারতেতো এবং কাম্বিয়া।
প্রিয় টিভি প্রোগ্রাম: প্রিমিসিয়াস।
প্রিয় ম্যাগাজিন: প্যাসিয়ন রোহিনেগ্রা (নিওয়েলসের ফ্যান ম্যাগাজিন)
প্রিয় বই: বাইবেল।
প্রিয় সিনেমা: বেবিজ ডে আউট।
ফুটবলের বাইরে অন্য প্রিয় খেলা: হ্যান্ডবল।
প্রিয় মডেল: নিকোল নিউম্যান।
প্রিয় খাবার: চিকেন ও সস।
প্রিয় বিষয়: স্প্যানিশ।
প্রিয় চাকরি: শারীরিক শিক্ষার (পিই) শিক্ষক।
লক্ষ্য: মধ্যমিক স্কুল শেষ করা।
আনন্দের উপলক্ষ: আমরা যখন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম।
শোকাবহ দিন: আমার দাদির মৃত্যু।
আশা: নিওয়েলসের হয়ে প্রথম বিভাগ খেলা।
প্রিয় স্মৃতি: আমার দাদি যখন আমাকে ফুটবল খেলতে নিয়ে গিয়েছিলেন।
স্বপ্ন: আর্জেন্টিনার হয়ে খেলা।
বলার মতো গল্প: আমরা যখন পেরুতে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম।
মানবতা: যে জিনিস মানুষের কখনও হারানো উচিত নয়।
আর্জেন্টিনার যুবদল: তাদের হয়ে খেলতে পারলে খুব ভালো লাগবে।
পরিবার: আমার বাবা হোর্হে, মা সিলিয়া এবং আমার ভাইবোন রড্রিগো, নাতালিয়া ও মারিসোল।
বন্ধু: আমার সৌভাগ্য যে আমার অনেক বন্ধু আছে। নামগুলো বলতে শুরু করলে কারও না কারও নাম নিতে ভুলে যাবো।
তোমার জীবনে নিওয়েলসের মানে কী?: সবকিছু, সত্যি সবকিছু।
সূত্র: ডেইলি মেইল
কিডজ ম্যাগাজিনে বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা [email protected] সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!