তিনটি গ্রিক উপকথা

পিঁপড়া এবং ঘাসফড়িং

রানাকুমার সিংহরানাকুমার সিংহ
Published : 23 Feb 2022, 04:17 AM
Updated : 23 Feb 2022, 04:17 AM

এক গ্রীষ্মের দিনে মাঠে একটি ঘাসফড়িং ঘুরে বেড়াচ্ছিল, কিচিরমিচির করছিল এবং মনের সুখে গান গাইছিল।

তখন একটা পিঁপড়া পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। পিঁপড়াটি অনেক পরিশ্রম করে একটা ভুট্টার বোঝা তার বাসায় নিয়ে যাচ্ছিল। তা দেখে ঘাসফড়িং বলল, ‘কাজ রেখে এসে আমার সঙ্গে আড্ডা দাও’।

‘আমি শীতের জন্য খাবার জোগাড় করছি এবং তোমাকেও তাই করার পরামর্শ দিচ্ছি’, পিঁপড়া বলল। ঘাসফড়িং জবাব দিল, ‘আমার এখন প্রচুর খাবার আছে এবং শীত নিয়ে চিন্তিত নই’।

কিন্তু পিঁপড়া তার পথে চলল এবং পরিশ্রম চালিয়ে গেল।

যখন শীত এল তখন ঘাসফড়িং-এর কোনো খাবার থাকল না। সে যখন ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির তখন দেখল পিঁপড়াটি গ্রীষ্মকালে সংগ্রহ করা শস্য থেকে প্রতিদিন ভুট্টা এবং অন্যান্য শস্য ক্ষুধার্তদের বিতরণ করছে।

ঘাসফড়িং বুঝতে পারল, অলস বসে না থেকে অসময়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা ভালো।

গাধার মগজ

একবার সিংহ আর শেয়াল একসঙ্গে শিকার করতে গেল। শিকারে কোনোকিছু না পেয়ে সিংহ শেয়ালের পরামর্শে গাধাকে একটি বার্তা পাঠায়।

বার্তায় সিংহ গাধার সঙ্গে জোট করার প্রস্তাব দেয়। রাজকীয় জোটের সম্ভাবনায় উচ্ছ্বসিত গাধা বৈঠকের জায়গায় দ্রুতই চলে এলো।

কিন্তু যখন গাধা সেখানে এলো তখন সিংহটি গাধার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং শেয়ালকে বলে, ‘আজকের জন্য আমাদের রাতের খাবার এটাই। আমি একটু ঘুরেফিরে আসছি। তুমি যদি আমার শিকারকে ছুঁয়েও দেখো তাহলে তোমার জন্য আফসোসের বিষয় হবে’।

সিংহ চলে গেল আর শেয়াল অপেক্ষা করতে লাগলো। কিন্তু সিংহ ফিরে আসছে না দেখে, শেয়াল গাধার মগজ বের করে খেয়ে ফেলে। সিংহ ফিরে এসে দেখে গাধার মাথায় মগজ নেই। সে ভয়ানক কণ্ঠে শেয়ালকে জিজ্ঞেস করলো, ‘তুমি ওর মগজ খেয়েছ?’

‘না, মহারাজ! এটির মগজ বলতে কিছুই ছিল না। মগজ থাকলে এটি কখনোই আপনার ফাঁদে পড়ত না’, বুদ্ধির রাজা শেয়াল ঝটপট জবাব দিলো।

প্রদীপের অহংকার

তেলে ভরা পরিষ্কার একটি প্রদীপ ঝলমল আলোতে জ্বলে উঠল এবং গর্বের সঙ্গে ভাবতে লাগল যে, সে সূর্যের চেয়েও বেশি উজ্জ্বল।

ঠিক তখনই এক দমকা হাওয়া এসে প্রদীপটি নিভিয়ে দিলো। তখন কেউ একজন দেয়াশলাই দিয়ে প্রদীপটিকে আবার জ্বালিয়ে বলল, ‘তুমি শুধু জ্বলে থাকো, আর সূর্যের কথা চিন্তা করো না। এমনকি তারাদের কথাও না। ওরা কখনোই দমকা হাওয়ায় তোমার মতো নিভে যায় না’।

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!