হাসির মুভি ‘ক্যাপ্টেন আন্ডারপ্যান্টস’

জর্জ বেয়ার্ড ও হ্যারল্ড হাচিন্স, স্কুলে তাদের পড়াশোনার অনেক চাপ। কিন্তু তারা মনে করে পড়াশোনা কেবল ক্লাসেই হয় না, তার বাইরেও হতে পারে।

মাজহার সরকারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2017, 10:59 AM
Updated : 27 Dec 2017, 10:59 AM

তারা মনে করে শিশুরা কেবল হোম ওয়ার্ক আর ক্লাস টেস্ট দেবে তা হবে না। তারা খেলাধুলা ও মজা করতে চায়। আর সেজন্য তারা দুষ্টুমি না করে থাকতে পারে না।

দুই বন্ধু জর্জ ও হ্যারল্ডের শখ হলো কমিক লেখা। আর এভাবেই তারা তাদের সেরা সুপারহিরো ‘ক্যাপ্টেন আন্ডারপ্যান্টস’ চরিত্রটি বানিয়ে ফেলে।

স্কুলের বদমেজাজি প্রিন্সিপাল বেঞ্জামিন ক্রুপ হলো তাদের মূল শত্রু। জর্জ ও হ্যারল্ড একসঙ্গে হলেই দুষ্টুমি শুরু করে, তাই তাদের আলাদা করতে ক্লাস শিফট পরিবর্তন করে দেন প্রিন্সিপাল।

তখন জর্জ একটি আংটির মাধ্যমে প্রিন্সিপালকে সম্মোহিত করে ফেলে। এখন জর্জ যা বলবে প্রিন্সিপাল তা-ই শুনবে। জর্জ তাকে ‘ক্যাপ্টেন আন্ডারপ্যান্টস’ হতে আদেশ দেয়, আর প্রিন্সিপাল তা-ই হয়ে যান!

এদিকে স্কুলে বিজ্ঞান পড়াতে নতুন এক শিক্ষক আসেন। তার নামটি অদ্ভূত, অধ্যাপক পি-পি ডায়ারহেসেন পপিপ্যান্টস। তিনি একটা জিনিস খুব অপছন্দ করেন, তা হলো হাসি। কারণ সবাই তার নাম নিয়ে হাসাঠাট্টা করে। তিনি হাসিবিহীন এক পৃথিবী বানানোর চেষ্টা করছেন। তিনি হয়ে পড়লেন জর্জ ও হ্যারল্ডের তৈরি করা কমিকের ভিলেন বা খারাপ মানুষ।

বিজ্ঞান শিক্ষক টার্বো টয়লেট ২০০০ সিরিজের একটা কম্পিউটার দিয়ে পুরো শহরকে বদলে ফেলার চেষ্টা করেন। তিনি শিশুদের করে ফেলতে চান জম্বি বা ভ্যাবাগঙ্গারাম, যাতে তারা আর হাসতে না পারে।

কিন্তু জর্জ ও হ্যারল্ড অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বিজ্ঞান শিক্ষকের এ ‘হাসিবিহীন পৃথিবী’ বানানোর পরিকল্পনাকে নষ্ট করে ফেলে। তারা খারাপ মানুষকে পরাজিত করে পৃথিবীতে হাসি টিকিয়ে রাখে। আর স্কুলের পাশাপাশি শিশুদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করে।

যুক্তরাষ্ট্রের শিশুসাহিত্যিক ড্যাভ পিলকির লেখা শিশুতোষ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি করা হাসির এ অ্যানিমেশন মুভির নাম ‘ক্যাপ্টেন আন্ডারপ্যান্টস: দ্য ফার্স্ট এপিক মুভি’। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন ‘শ্রেক’, ‘টার্বো’ ও ‘বস বেইবি’ চলচ্চিত্রের জন্য খ্যাত ডেভিস সোরেন।

ছবিটিতে জর্জ ও হ্যারল্ডের চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন কেভিন হার্ট ও টমাস মিডলডিচ।