কবি রওশন আরা মুক্তার এ গল্পের বইটি প্রকাশ করেছে ‘কাকাতুয়া’।
Published : 22 Feb 2025, 11:39 PM
অনেক আগের কথা, পাহাড় ঘেরা এক দেশ ছিল। সে দেশে ছিল এক রানি। তার একটাই মেয়ে, নাম হলো তারা। তারা মানে কি বুঝতে পেরেছ? ওই যে, যখন সন্ধ্যা হয়, সূর্য ডুবে যায়, দূর আকাশে চকচক করে ওঠে? হ্যাঁ, ওটাই তারা।
আদর করে তারাকে কেউ ডাকে তারাপরি, কেউ ডাকে তারাসোনা, কেউ ডাকে তারামা! তবে, রানি তারাকে ডাকে ‘তারামণি’, কারণ তারাই হলো রানির চোখের মণি। তারামণি হাসে, খেলে আর সারাদিন ছোটাছুটি করে, সাথে থাকে তার সবচেয়ে প্রিয় ঘোড়া রাঘব!
রাজ্যের সব ছেলেমেয়েই তার বন্ধু! কখনো চাঁদনির সাথে মাছ ধরে তো কখনো সুপ্তির সাথে কুস্তি লড়ে। তারা বন্ধুদের কাছে একটা খাবারের গল্প শুনতে পায়, সেই খাবারটি নাকি মেঘের মতো ঠান্ডা তুলার মতো তুলতুলে, ঘিয়ের মতো মোলায়েম আর, রসগোল্লার মতো মিষ্টি- এমন কোনো খাবার হতে পারে! কোথায় পাওয়া যায় এই খাবার?
কেউ-ই বলতে পারে না কোথায় পাওয়া যায় এই খাবার। তারা প্রাসাদে ফিরে সোজা চলে যায় রসুইঘরে। ওমা, চারটে চুলায় গনগনে আগুনের ওপর চার পদ রান্না চলছে! এত আগুনের মধ্যে মেঘের মতো ঠান্ডা খাবার কি সম্ভব? তবুও তারা বলে, এখানে কি মেঘের মতো ঠান্ডা খাবার বানানো হয়?
রাঁধুনিরা একে অন্যের দিকে তাকায়, কেউ জানে না, মেঘের মতো ঠান্ডা খাবার কী। তারামণি বলল, আমাকে মেঘের মতো ঠান্ডা খাবার বানিয়ে দাও না হলে আমি কিছুই খাব না! সত্যিই তারা সেদিন দুপুরে কিছুই খেলো না।
তারামণি খাবে না আর রানিমা বসে থাকবে? রানি সারাদিন ধরে রান্না করে, দশ পদের খাবার নিয়ে তারার সামনে উপস্থিত হলো। পোলাও-কোর্মা, রুটি-ভাত, খিচুড়ি-সন্দেশ, আচার-শরবত কী নেই সেখানে? কিন্তু তারা কিছুতেই খাবে না! তারার একটাই কথা, আমাকে এমন একটা খাবার এনে দাও যা মেঘের মতো ঠান্ডা, তুলার মতো তুলতুলে, ঘিয়ের মতো মোলায়েম আর, রসগোল্লার মতো মিষ্টি!
রানির তো মাথায় হাত! কোথায় সে পাবে এমন অভিনব খাবার? এমন জিজ্ঞাসা নিয়েই এবারের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে কবি রওশন আরা মুক্তার গল্পের বই ‘মালাইবরফ’, প্রকাশ করেছে ‘কাকাতুয়া’।
বইটির মুদ্রিত মূল্য ২০০ টাকা। পাওয়া যাবে বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৮৪২ নম্বর স্টলে।