দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এইডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮৫৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন; আর এসময়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের।
সবশেষ নতুন ভর্তির তথ্য নিয়ে দেশে এ বছর হাসপাতালে যাওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবরের ১৬ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজারের বেশি।
এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮৫৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। দৈনিক ভর্তি রোগীর এ সংখ্যা এ বছর সর্বোচ্চ। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর ২৪ ঘণ্টায় ৭৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, যা ছিল একদিনে সর্বোচ্চ রোগী।
গত একদিনে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৫ হাজার ১৮১ জন।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি রোগীর মধ্যে ৫২৩ জন ঢাকার শহরের। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৩২ জন রোগী।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরের বাইরে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১৫ জন চট্গ্রাম বিভাগের।
ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ৪৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৬ জন, খুলনা বিভাগে ৬২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৩ জন, রংপুর বিভাগে ২ জন, বরিশাল বিভাগে ৪৭ জন এবং সিলেট বিভাগে দুই জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২ হাজার ৮৪৭ রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৯৫৭ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৮৯০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের দুজন ঢাকায় এবং তিনজন ঢাকার বাইরে। ঢাকা শিশু হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল, ময়মনসিংহ, ফেনী ও খুলনায় একজন করে মৃত্যু হয়েছে গত একদিনে।
দেশে এ পর্যন্ত যে ৯৪ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৫২ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে নরসিংদী জেলায়। এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে একজন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৪ জন, খুলনা বিভাগে একজন এবং বরিশাল বিভাগে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, অক্টোবরের প্রথম ১৬ দিনে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ৮৯ জন।
আর যে ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ৩৯ জনই অক্টোবরের প্রথম ১৬ দিনে মারা গেছেন। এছাড়া জুনে ১ জন, জুলাইয়ে ৯ জন, অগাস্টে ১১ জন এবং সেপ্টেম্বরে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।