সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারের মতো ফির বিনিময়ে রোগী দেখার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
যদিও এক মাস আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, মার্চ থেকেই সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু হবে। তার একটি নীতিমালা হচ্ছে।
মন্ত্রী সেকথা বলার পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতির খবরও আসছিল।
তবে মার্চ মাস শুরুর দুদিন আগে সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, “বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বলা হচ্ছে, মার্চ থেকে চিকিৎসকরা চেম্বার করবেন। ফি নেওয়া হবে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা। এ ধরনের সংবাদে মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রীই গত ২৬ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, সরকারি চিকিৎসকদের সরকার কর্মসময়ের পর হাসপাতালেই ব্যক্তিগত রোগী দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। ১ মার্চ থেকে শুরু হবে এই ‘ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস’।
সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হলেও প্রক্রিয়া এখনও চলছে বলে সোমবার জানান জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, “সরকারি হাসপাতালে সরকারি চিকিৎসকদের নিজ নিজ হাসপাতালেই অফিস সময়ের বাইরে আলাদা চেম্বার করার বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে কাজ করছেন।
“এখনও পর্যন্ত চিকিৎসকের ফি কত হবে, কতটি হাসপাতালে এই সেবা চালু হবে সেটাও ঠিক হয়নি।”
কমিটি পর্যালোচনা শেষে যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সেক্ষেত্রে মার্চ থেকে ‘ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস’ শুরু হবে কি না, তা সোমবার আর সুস্পষ্ট করেননি তিনি।
এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে জাহিদ মালেক ২৬ জানুয়ারি বলেছিলেন, “এর উদ্দেশ্য হল চিকিৎসকদের তাদের কর্মস্থলে রাখা, তরুণ চিকিৎসকদের প্র্যাকটিসের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া।”