“আমার কাছে মনে হয়েছে এ বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি আগের চেয়ে খারাপ হবে; তবে ঢাকার পরিস্থিতি এমন নাও হতে পারে,” বলছেন অধ্যাপক কবিরুল বাশার।
Published : 24 Mar 2024, 12:27 AM
বর্ষাকালকে একসময় ডেঙ্গুর মৌসুম ধরা হলেও মশাবাহিত রোগটি এখন সারাবছরই ভোগাচ্ছে। এবার বসন্তের শুরুতেই যত মানুষ ডেঙ্গুর শিকার হয়েছে, তাতে আভাস মিলছে ভয়ঙ্কর আরেকটি বছরের।
এ বছরের ২৩ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬২০ জন, যার মধ্যে প্রাণ গেছে ২২ জনের। এর আগে কখনোই বছরের প্রথম তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এত মানুষের মৃত্যু হয়নি।
এই তিন মাসের পরিসংখ্যান দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে খারাপ হতে পারে।
আর ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকায় হাসপাতাল প্রস্তুত রাখতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
সরকারের একার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয় জানিয়ে মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, নাগরিকদের মশা নিধনে সক্রিয় হতে হবে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মানুষকে সচেতন করার কাজ করতে হবে, মানুষকে বোঝাতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখনই যে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তাতে এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়বে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবস্থাপনার কোনো পরিবর্তন হয়নি। গত বছরের চেয়ে এবার রোগী বেশি হওয়ার খুবই আশঙ্কা আছে।
“প্রতিরোধ, এইডিস মশা নিধন এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা তিনটিই গতানুগতিভাবে হচ্ছে। উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই, স্বীকারোক্তিও নেই। সংস্থাগুলো একে অপরের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে। সরকারিভাবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সমন্বিত ব্যবস্থা না নিলে এবারও ডেঙ্গুর প্রকোপ ঠেকানো যাবে না।”
২০১৯ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে যে রোগী পাওয়া যাচ্ছে, তা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ; মৃত্যুও অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। কেবল মার্চ মাসের রোগী হিসাব করলেও অতীতের যে কোনো সময়ের বেশি।
দেশে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুতে রেকর্ড হয়েছিল। সারাদেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ডেঙ্গু নিয়ে। আক্রান্তদের মধ্যে ১৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর মধ্যে মার্চ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৮৪৩ জন, মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের।
২০২২ সালে সারাদেশে ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী ভর্তি হন, মৃত্যু হয় ২৮১ জনের। মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে ১৬৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সে সময় পর্যন্ত কারও মৃত্যু হয়নি।
২০২১ সালে সারাদেশে ২৮ হাজার ৪২৯ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান ১০৫ জন। এর মধ্যে মার্চ মাস পর্যন্ত ৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই সময় পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি।
২০২০ সালে ১৪০৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৭ জন মারা যান। বছরের প্রথম তিন মাসে রোগী ভর্তি হয় ২৭১ জন। ওই বছরের প্রথম তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
২০১৯ সালে সারাদেশে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে। তাদের মধ্যে ১৬৪ জন মারা যান। বছরের প্রথম তিন মাসে আক্রান্ত হন ৭৩ জন; ওই সময় পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি।
শঙ্কা বেশি ঢাকার বাইরে
ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ডের বছর ২০২৩ সালে যে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে যান, তার মধ্যে দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জনই ভর্তি হন ঢাকার বাইরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, এ বছরও ঢাকার বাইরেই ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেশি। এখন পর্যন্ত যে ১৬২০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ঢাকায় ভর্তি হয় ৫৬৮ জন এবং ঢাকার বাইরে এ সংখ্যা ১০৫২। ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি রোগী চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে।
ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে গত বছরও ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি ছিল। এ বছরও ওই দুটি বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
বরিশাল বিভাগে এ বছর ১৯৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৯৫ জনই বরগুনা জেলায়।
এর মধ্যে বরগুনা পৌরসভা, বেতাগী ও আমতলী পৌর এলাকার রোগী বেশি বলে জানিয়েছেন বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ফজলুল হক।
তিনি বলেন, বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সমন্বয় কমিটির সভায় ডেঙ্গু রোগী বেশি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন।
“রোগীদের সেবা দিতে আমাদের হাসপাতাল প্রস্তুত। কিন্তু মশার প্রজনন কমাতে না পারলে এবারও ডেঙ্গু রোগী বেশি হবে। আমি সবাইকে অনুরোধ করেছি, মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।”
মশা নিধনে প্রস্তুতি কেমন, জানতে চাইলে বরগুনা পৌরসভার মেয়র মো. কামরুল আহসান (মহারাজ) বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পৌরসভা থেকে মশা নিধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ কম এ কারণে পুরোদমে কাজটি করা যাচ্ছে না।
“মশার ওষুধের জন্য অনেক টাকা দরকার। কিন্তু বরাদ্দ কম, যে কারণে ইচ্ছা করলেই পুরো এলাকায় মশার ওষুধ দেওয়া যায় না। আর মানুষের সচেতনতার অভাব আছে, এ কারণে আমরা সচেতনতা বাড়াতেও কাজ করছি।”
২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৪ হাজারের বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। মৃত্যু হয় ১২৪ জনের। তাদের মধ্যে ৪৬৫৯ জন রোগী ছিল কক্সবাজার জেলায়।
সে বছরের ২৩ মার্চ পর্যন্ত ৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। আর এ বছর ২৩ মার্চ পর্যন্ত জেলায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯৬ জন, যাদের মধ্যে একজন মারা গেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আক্রান্ত রোগীরা এই তালিকায় নেই।
কক্সবাজার জেলার সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ফাহিম ফয়সাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত দুই বছর ধরেই কক্সবাজার জেলায় ১৫ হাজারের বেশি রোগী (রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ) পাওয়া যাচ্ছে। পরপর দুই বছর রোগী বেশি থাকায় স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক। গেল সপ্তাহে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায়ও এখন থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
“এবার গত বছরের এই সময়ের চেয়ে রোগী বেশি দেখা যাচ্ছে। গত বছর আমরা দেখেছি জেলার মধ্যে কক্সবাজার পৌরসভার কিছু নির্দিষ্ট এলাকা থেকে রোগী বাড়তে শুরু করে। এ বছর এখনও ওই এলাকায় তেমন রোগী দেখছি না। যে ৯৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে, তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে যেহেতু পরপর দুই বছর এখানে রোগী ছিল, কখনও শুন্য হয়নি; সুতরাং মশা নিধন কার্যক্রম আরও বাড়ানো উচিত।”
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি এবং কক্সবাজার পৌরসভা এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছেন।
“আমরা পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতার দিকে বেশি জোর দিচ্ছি। পানি যেন জমে না থাকে, সেদিকে বেশি নজর দেওয়া। মূলত ক্যাম্প এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি, সেটা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। সেখানেও বিভিন্ন সংস্থা মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।”
সংশ্লিষ্টরা যা বলছেন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সম্প্রতি তিনি চট্টগ্রাম, বরিশাল, বরগুনা, পিরোজপুর ও চাঁদপুরে এইডিস মশার উপস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওই পরিদর্শনে তিনি দেখেছেন ওইসব জায়গায় এইডিস মশার ঘনত্ব আগের চেয়ে অনেক বেশি।
তিনি বলেন, “এবার ঢাকার চেয়ে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু বেশি ছড়ানোর আশঙ্কা আছে। ওইসব জায়গায় মশার ঘনত্ব, ওই এলাকার পরিবেশ এবং সেসব এলাকায় এখনও ডেঙ্গু আছে। সবমিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে এ বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি আগের চেয়ে খারাপ হবে।
“তবে ঢাকার পরিস্থিতি এমন নাও হতে পারে। এখানে দীর্ঘসময় ধরে ডেঙ্গু হচ্ছে। অনেকেই এরইমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে অনেকে এক বা একাধিক সেরাটাইপে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে নতুন করে ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। এছাড়া ঢাকায় মশক নিধন কার্যক্রম একটু বেশি।”
কবিরুল বাশার বলেন, “মশা নিয়ন্ত্রণে এখনই সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।”
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ বছর বর্ষার সময় ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে পারে। সেই আশঙ্কা মাথায় রেখে ফেব্রুয়ারি থেকেই বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছি আমরা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসি একটি গোলটেবিল বৈঠক করে যেখানে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কীটতত্ত্ববিদ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন।
“সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিএনসিসি একটি কারিগরি টিম গঠন করেছে। মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করতে তিনজন কীটতত্ত্ববিদ নিয়োগ করা হয়েছে।”
ইমরুল কায়েস বলেন, “উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টারবাইন মেশিন কেনার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে আছে, যা দিয়ে কম সময়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় মশকনিধন কার্যক্রম চালানো যাবে। মশার হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে আমরা মশক নিধন কার্যক্রম চালাব।
“মশা মারতে ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতা নতুন করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিটিআই কেনার প্রক্রিয়া শেষ, আগামী দুই মাসের এটি ব্যবহার করতে পারব।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা প্রতি বছর মশক নিধনের জন্য যে কর্মসূচি নিই, সেই প্রস্তুতি এবারও আছে। এর বাইরে কোনো ওয়ার্ডে যদি এক সপ্তাহে ১০ জনের বেশি রোগী পাওয়া যায়, তাহলে ওই ওয়ার্ডকে আমরা রেড জোন ঘোষণা করব।
“সেখানে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালানো হবে। এছাড়া মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট করব।”
এবছর কিউলেক্স ও এইডিস মশা দুটোই বেড়েছে বলে মানছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামও।
বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “কিউলেক্স মশা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। এইডিস মশা নিয়ে শঙ্কা আছে। এইডিস মশা নিয়ে আপনারা যেমন আতঙ্কিত, আমাদেরও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ আছে। এই মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়, মানুষ মারা যায়।”
ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিধনে পৌরসভা ও ইউনিয়নগুলোর সক্ষমতা আছে কি না, এমন প্রশ্নে তাজুল ইসলাম বলেন, “সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাগুলোর পক্ষে কাজ করার সুযোগ আছে। তারা সেই কাজ করবে। কিন্তু তাদের আওতার বাইরেও মশা জন্মায়। সেক্ষেত্রে মানুষকেও আরও সচেতন হতে হবে, বাড়িঘর-আঙিনা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।”
নিজেদের প্রস্তুতির কথা বলতে গিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা বছরের প্রথম থেকেই উদ্যোগ নিয়েছি। জানুয়ারি মাসে সভা করেছি মশক নিধনের জন্য।
“ডিসি সম্মেলনেও আমি মশা নিধনে ডিসিদের যে দায়িত্ব তা পালনের নির্দেশ দিয়েছি। ইনটিগ্রেটেডে ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট অনুযায়ী কাজ করতে বলেছি।”