প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে পাওয়া সহায়তায় প্রায় ১ হাজার রোগীকে হৃদরোগের চিকিৎসা ও যন্ত্রাংশ দেওয়া যাবে।
Published : 27 Jul 2023, 12:49 PM
ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে গরিব ও অসহায় রোগীদের চিকিৎসার জন্য সাড়ে সাত কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এই অর্থ দিয়ে প্রায় ১ হাজার রোগীকে হৃদরোগের চিকিৎসা ও যন্ত্রাংশ দেওয়া যাবে।
গত ১২ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়। বুধবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল সেই চিঠি গ্রহণ করেছে বলে পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন জানান।
চিঠিতে বলা হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত গরীব ও অসহায় রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১৫০টি ভাল্ব, ২০০টি অক্সিজেনেটর, ৩০০টি স্টেন্ট, ৩০টি ভাসকুলার স্টেন্ট, ১২০টি পেসমেকার, ৩০টি পিডিএ ডিভাইস, ৩০টি এএসডি ডিভাইস এবং ১০টি ভিএসডি ডিভাইস কেনা হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ৭ কোটি ৬৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার বরাদ্দ অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুদানের এই চেক গ্রহণ করার জন্য চিঠিতে বলা হয়েছে। এছাড়া পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী ক্রয়সংক্রান্ত প্রচলিত বিধিবিধান অনুসরণ করে ক্রয় প্রক্রিয়া শেষ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অবহিত করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।
ডা. মীর জামাল উদ্দিন বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গরীব ও অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে হৃদরোগের নানা যন্ত্রাংশ দেওয়া শুরু হয় গত বছর। সে সময় দুই দফায় সাত কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। সে অর্থ দিয়ে এক হাজার রোগীকে সহায়তা করা হয়।
“এবার যে অর্থ পাওয়া গেছে তা দিয়ে ভাল্ব, স্টেন্ট, পেসমেকার, এবং অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং শিশুদের হৃদযন্ত্রের জন্মগত ছিদ্র বন্ধ করার জন্য যন্ত্রপাতি কেনা হবে।”
জামাল উদ্দিন বলেন, এই হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিতে আসে, তাদের মধ্য থেকে বাছাই করা হবে কারা এই সহায়তা পাবেন।
“সহায়তা প্রত্যাশীরা আমাদের কাছে একটা আবেদন করবেন। আমাদের একটা কমিটি করা আছে। তারা সবকিছু যাচাই বাছাই করে মনোনীত করবেন। এছাড়া কারা গরীব এটা তো দেখেও অনেকটা বোঝা যায়। তারপরও সহায়তা প্রত্যাশীকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে একটা প্রত্যয়ণ আনতে হবে।”