এই টিকা উৎপাদনকারী গ্লোব বায়োটেক জানিয়েছে, দুই মাসের জন্য অর্ধ শতাধিক বানরের উপর ‘এনিমেল ট্রায়াল’ শেষে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের দিকে যাবে তারা।
সেপ্টেম্বরে নাগাদ বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল-বিএমআরসির কাছে ‘হিউম্যান ট্রায়াল’র জন্য আবেদন করা হবে বলে গ্লোব বায়োটেকের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (কোয়ালিটি এ্যান্ড রেগুলেটরি) ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানিয়েছেন।
তিনি সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংগৃহীত ৫৬টি বানরের উপর অ্যানিমেল ট্রায়াল অগাস্ট থেকে শুরু করেছি আমরা। আমাদের নিজেদের অ্যানিমেল সেন্টারে রেখে নির্ধারিত প্রটোকলের মধ্যে তা করতে হচ্ছে। সেপ্টেম্বর নাগাদ হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য বিএমআরসির কাছে আবেদন করব।”
গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের নীতিগত অনুমোদনের জন্য গত জানুয়ারিতে আবেদন জমা দেওয়া হয়।
পরে বিএমআরসির চাহিদা অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত যোগ করে ফেব্রুয়ারিতে সংশোধিত আবেদন জমা দেওয়া হয়।
ড. মহিউদ্দিন বলেন, “বিএমআরসি হতে আমাদের কাছে চিঠি আসে যে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পূর্বে বানর অথবা শিম্পাঞ্জিতে টিকাটির ট্রায়াল সম্পন্ন করতে হবে।
“আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুসরণ করে বন বিভাগের অনুমোদন নিয়ে বানর সংগ্রহ করেছি এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বানরের উপর পরীক্ষা করছি।”
তিনি বলেন, “১ অগাস্ট ট্রায়াল শুরু হয়েছে, সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। করোনাভাইরাস যে ধরণটা সংক্রমণ হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আমরা আশা করি, বঙ্গভ্যাক্সও কার্যকর হবে।”
পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শেষের পর ফলাফল গণমাধ্যমে জানানো হবে বলে তিনি জানান।
‘এনিমেল ট্রায়ালে’ কার্যকর অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন মহিউদ্দিন।
“আমাদের টিকাটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর একটি ডোজেই এনিম্যাল ট্রায়ালে কার্যকর অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। আমরা আশা করছি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও অনুরূপ ফলাফল পাওয়া যাবে।”
তিনি জানান, এই টিকা ৪° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১ মাস এবং -২০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।