শর্তসাপেক্ষে গ্লোবের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নীতিগত সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশের করোনাভাইরাসের টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ এবং ভারত ও চীনের দুটি টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল-বিএমআরসি। তবে এজন্য তিনটি কোম্পানিকেই কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 June 2021, 12:27 PM
Updated : 16 June 2021, 12:27 PM

কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার বিএমআরসির ইথিক্যাল বোর্ডের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

“তবে কতগুলো নিয়ম অবশ্যই পালন করতে হবে। ফেইজ ওয়ানের আগে বানর বা শিম্পাঞ্জির ওপর পরীক্ষা করতে হবে। এদের ওপর ওপর টিকাগুলোর কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সমস্ত কাগজপত্র বিএমআরসিতে জমা দিতে হবে।

“আমরা প্রত্যেক সিআরওকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেব। যে তিনটা কোম্পানি কথা বলেছে তাদের প্রত্যেককে চিঠি দেব। তিনটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বঙ্গভ্যাক্স, ভারত বায়োটেক এবং চীনের একটি প্রতিষ্ঠান।”

রুহুল আমিন বলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদনের ব্যাপারে সবাই ‘পজিটিভ’।

“এ ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিমত নেই। আমরা যেসব শর্ত দিয়েছি সেগুলো পূরণ করাও কঠিন না। এটা হয়ে যাবে আশা করি। আমরা উনাদের ডাকব। উনাদের কথা শোনার পর আমরা মিডিয়াকে ডেকে আসল কথাটা জানিয়ে দেব।”

বাংলাদেশের কোম্পানি গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের নীতিগত অনুমোদনের জন্য গত জানুয়ারিতে আবেদন জমা দেওয়া হয়।

পরে বিএমআরসির চাহিদা অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত যোগ করে ফেব্রুয়ারিতে সংশোধিত আবেদন জমা দেওয়া হয়।

দেশে করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর গত বছর ২ জুলাই ওষুধ প্রস্ততকারী গ্লোব ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক টিকা তৈরির কাজ শুরুর কথা জানায়। ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে এই টিকা বাজারে আনা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছিল তারা।

সেদিন সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, খরগোশের ওপর এ টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ‘সফল’ হয়েছে। মানবদেহেও তা সফল হবে বলে আশাবাদী তারা।

পরে গত বছর ৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেক জানায়, ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করেও তাদের ওই সম্ভাব্য টিকা ‘কার্যকর ও সম্পূর্ণ নিরাপদ’ প্রমাণিত হয়েছে।

গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত তিনটি সম্ভাব্য টিকা পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

গ্লোব বায়োটেকের ব্যবস্থাপক (কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি অপারেশনস) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানিয়েছিলেন, তাদের তিনটি টিকার মধ্যে D614G variant mRNA vaccine এর প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে।

শুরুতে গ্লোব বায়োটেক তাদের টিকার নাম দেয় ‘ব্যানকোভিড। পরে তা পরিবর্তন করে ‘বঙ্গভ্যাক্স’ রাখা হয়।

গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডকে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনের অনুমতি দেয়।

আরও পড়ুন