স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর আগে জানিয়েছিলেন, সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা বিনামূল্যে হবে। তবে এখন মন্ত্রী জানালেন ভিন্ন তথ্য।
Published : 06 Nov 2022, 04:01 PM
দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষা করাতে এখন থেকে ১০০ টাকা করে ফি দিতে হবে।
আর বেসরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষার জন্য ৩০০ টাকা ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক রোববার ঢাকার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ‘কমিউনিটি পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে পর্যালোচনা’ শীর্ষক সভা শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “ডেঙ্গু টেস্টের জন্য ১০০ টাকা করে নেওয়া হবে, এটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর বেসরকারি হাসপাতালে এই ফি হবে ৩০০ টাকা।”
২০১৯ সালে সারাদেশে ব্যাপকভাবে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার পর সরকার সব সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা বিনামূল্যে করে দিয়েছিল। আর বেসরকারি হাসপাতালের ডেঙ্গুর NS1 পরীক্ষা করতে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
নতুন নির্দেশনার ফলে বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি ২০০ টাকা কমবে।
এদিকে গত শুক্রবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছিলেন, সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা এবারও বিনামূল্যে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার নির্দেশ
কিন্তু মন্ত্রী অন্যরকম তথ্য জানানোর পর যোগাযোগ করা হলে ডা. খুরশীদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মন্ত্রী মহোদয় যে তথ্য দিয়েছেন, সেটাই ঠিক।
“কারণ আমরা ইতিমধ্যে ফি ১০০ টাকা নির্ধারণ করে চিঠি দিয়েছি বিভিন্ন হাসপাতালে। শুক্রবার গণমাধ্যম যে তথ্য দিয়েছে, তা কোনোভাবে মিসকোট হয়েছে মনে হয়। এতদিন সব সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা বিনামূল্যেই হত। ফলে ১০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।”
২০১৯ সালের পর এবারই ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দেশে গত কয়েকদিন ধরে বাড়ছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা।
রোববার পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৯০৮ জন রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও তিনজনের।
এ নিয়ে এ বছর সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা হল ৪৩ হাজার ১০৭ জন। ২০১৯ সালের পর এই সংখ্যা সর্বোচ্চ।
এ বছর মৃত্যু হয়েছে ১৭০ জনের। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক বছরে মৃত্যুর এটাই রেকর্ড। এর আগে ২০১৯ সালে ১৬৪ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।