স্থির মঞ্চে নাটক হবে, দর্শক দেখবে স্থির আসনে বসে; এমন ধারণা পাল্টে দিতে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার একটি নাট্যদল।
অভিনব এক উদ্যোগে তারা চলন্ত ট্রামকে বেছে নিয়েছে নাটকের মঞ্চ হিসেবে, শুধু তাই নয় সেই ট্রামেই থাকবে দর্শকের দেখার ব্যবস্থা।
অর্থাৎ ট্রাম চলবে, শিল্পী-কলাকুশলীরা নাটক করবেন সেখানে,দর্শকও তা দেখবে সেখানেই বসে।
‘সম্পূর্ণ’ নাট্যদলের নাটক ‘উড়োচিঠি’র এমন মঞ্চায়নের খবর দিয়েছে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার।
এই আয়োজন সফল করতে পুরো একটা ট্রাম ভাড়া নিচ্ছে নাট্যদলটি। আগামী ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর হবে নাটকের মঞ্চায়ন।
আনন্দবাজার লিখেছে, ২০১৯ সালে ডিসেম্বর মাসে আর্থিক সংকটের কারণে ট্রামটি ভাড়া করতে ব্যর্থ হয় ‘সম্পূর্ণ’। তারপরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, পূজা পার্বনে পথনাটকের মধ্যদিয়ে টাকা জমিয়ে শুরু করে নাটকের কাজ।
নাটকটির লেখক ও নির্দেশক জিতাদিত্য চক্রবর্তী বলেন, “সাইট স্পেসিফিক থিয়েটার হিসেবে নাটকটিকে গণ্য করা হবে। অর্থাৎ নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার স্থানের গল্প বলে যাওয়াই এই ধরনের নাটকের কাজ।
“টালিগঞ্জের ট্রাম ডিপো থেকে শুরু হবে নাটকটি। দর্শকদের ট্রামে বসানো হবে। চলন্ত ট্রামে বসে তারা চা খাবেন। টালিগঞ্জ মেট্রোর সামনে ট্রামটি থামলে চরিত্ররা উঠে অভিনয় শুরু করবেন। বিভিন্ন স্টপেজে ট্রাম থামলে নতুন চরিত্ররা উঠবে। ট্রামের সাথে সাথে নাটকও এগিয়ে চলবে। ট্রামটি নিজেও এই নাটকেরই একটি চরিত্র।”
আকস্মিক কোনো প্রতিবন্ধকতার জন্যও প্রস্তুতি রেখেছেন বলে জানালেন জিতাদিত্য। দুজন কর্মী সবসময় বাইক নিয়ে ট্রামের পাশে থাকবে। তারা সময় অনুযায়ী অভিনেতাদের ট্রামে পৌঁছে দেবে।
নাটকটির আনুমানিক সময় এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট। ট্রামের প্রথম কামরা থেকে লাইট, মিউজিক এবং নাটকের আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দ্বিতীয় কামরায় বসবে ৩০ জন দর্শক।
উড়োচিঠিতে অভিনয়শিল্পীর সংখ্যা সর্বমোট নয়জন। মঞ্চের পেছনে থাকবেন আরও ২২ জন।