ছয় দিন আগে শুটিংয়ের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ অভিনেত্রী শারমিন আঁখির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আঁখির অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। শ্বাসকষ্ট ছাড়াও এসেছে জ্বর। তার অবস্থা ভালো না। আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।”
বৃহস্পতিবার ওই অভিনেত্রীকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।
আঁখির স্বামী নির্মাতা রাহাত কবীর জানিয়েছিলেন, গত ২৮ জানুয়ারি ঢাকার পল্লবী থানার কালশী রোডের একটি শুটিংস্পটে বিস্ফোরণে দগ্ধ হন তার স্ত্রী।
আঁখিকে ওইদিন সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, আগুনে তার শ্বাসনালীসহ শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
সেদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা জানিয়ে পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেছিলেন, “গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে। সেখানে তার স্বামীসহ অনেকেই ছিলেন। তার চুলের সজ্জার কাজ চলছিল। এসময় বাথরুমে বিস্ফোরণটা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বাথরুমে সিগারেট জ্বালাতে গেলে জমে থাকা গ্যাসে বিস্ফোরণ ঘটে।”
আঁখির স্বামী রাহাত কবীর জানিয়েছিলেন, শুটিং স্পটটি একেবারে নতুন, রংয়ের গন্ধও যায়নি; ওই শুটিং স্পটে মেকআপ রুম ও বাথরুম একসঙ্গে ছিল। সেখানে আঁখির চুল সোজা করার যন্ত্র (হেয়ার স্ট্রেটনার) দিয়ে কাজ চলছিল। এ সময় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে বাথরুমের দরজা ভেঙে যায়।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার শাহাবুদ্দিনের মেয়ে শারমিন আঁখি পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিংয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন।