ঢাকার মিরপুরে একটি নাটকের শুটিংয়ের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেত্রী শারমিন আঁখি।
শারমিনের স্বামী নির্মাতা রাহাত কবীর জানান, পল্লবী থানার কালশি রোডে এপেক্স শোরুমের পাশে একটি শুটিংস্পটে কাজ চলছিল। স্পটটা একেবারে নতুন, রংয়ের গন্ধও যায়নি; সেখানেই এ ঘটনা।
শনিবার দুপুরে ওই বিস্ফোরণের পর সন্ধ্যায় শারমিনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
ইনিস্টিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন রোববার জানান, শারমিন হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে ভর্তি আছেন। আগুনে তার শ্বাসনালীসহ শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা জানিয়ে বলেন, “গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে। সেখানে তার স্বামীসহ অনেকেই ছিলেন। তার চুলের সজ্জার কাজ চলছিল। এসময় বাথরুমে বিস্ফোরণটা হয়। ধারণা করা হচ্ছে বাথরুমে সিগারেট জ্বালাতে গেলে জমে থাকা গ্যাসে বিস্ফোরণ ঘটে।”
শারমিনের বরাতে রাহাত কবীর বলছেন, ওই শুটিং স্পটে মেকআপ রুম ও বাথরুম একসঙ্গে ছিল। সেখানে তার চুল সোজা করার যন্ত্র (হেয়ার স্ট্রেটনার) দিয়ে কাজ চলছিল। এ সময় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে বাথরুমের দরজা ভেঙে যায়।
ঘটনার পর শারমিনক প্রথমে ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়; পরে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে ভর্তি করা হয় বলে জানান রাহাত।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার মো. শাহাবুদ্দিনের মেয়ে শারমিনব পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিংয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকেন।
রোববার বার্ন ইনিস্টিউটে গিয়ে শারমিনের বোন-স্বামীসহ স্বজনদের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। বড় বোন শাহানাজ আক্তার সাথীরও ধারণা, জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে।
তিনি বলেন, আঁখির সঙ্গে কথা বলে তার মনে হয়েছে বাথরুমে কোনোভাবে গ্যাস জমে ছিল। আর বৈদ্যুতিক স্পার্ক থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।