আমিশার আগের যে সিনেমাগুলো ছিল সুপারহিট

প্রথম সিনেমা ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ করে রাতারাতি তারকা বনে যান আমিশা।

আমিশা প্যাটেল।

‘গদর: এক প্রেম কথা’র সিক্যুয়েল ‘গদর ২’র ব্যবসায়িক সাফল্য আলোচনায় ফিরিয়েছে আমিশা প্যাটেলকে, যাকে প্রায় ভুলতেই বসেছিল দর্শককূল।

সানি দেওল ও আমিশার নতুন সিনেমাটি বলিউডে বক্স অফিসে একের পর এক রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে। তার আগে টিকে থাকার লড়াই করতে হচ্ছিল এই অভিনেত্রীকে।

অথচ আমিশার দিনগুলো এমন ছিল না। প্রথম সিনেমা সুপারহিট ব্যবসার পর আরও কয়েকটি হিট সিনেমা এসেছিল তার হাত ধরে।

গদার-২ এর সাফল্যগাথা দেখে টাইমস অব ইন্ডিয়া আমিশার সেই পুরনো হিট সিনেমাগুলো মনে করিয়ে দিয়েছে পাঠকদের।

২০০০ সালে ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ করে রাতারাতি তারকা বনে যান আমিশা। রাকেশ রোশান পরিচালিত সিনেমাটি তার ছেলে হৃতিক রোশানেরও প্রথম সিনেমা। বলিউড সিনেমার ক্ষেত্রে এক বিরাট বড় মাইলপলক ধরা হয় ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’কে। কারণ এ সিনেমা থেকেই বলিউড পেয়েছিল হৃতিকের মতো বড় তারকাকে।

২০০১ সালে মুক্তি পায় অনিল শর্মা পরিচালিত সিনেমা ‘গদর: এক প্রেম কথা’। এ সিনেমায় সানি দেওলের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন আমিশা। দেশভাগের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই সিনেমা শুধু বক্স অফিসেই সাড়া ফেলেনি, এত বছর পরেও আমিশার ক্যারিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা হয়ে রয়েছে।

পরের বছরই ববি দেওল ও অক্ষয় খান্নার সঙ্গে ‘হামরাজ’ এ দেখা গিয়েছিল আমিশাকে। এই সিনেমাটি সেবার বিপুল ব্যবসা করেছিল।

২০০৭ সালে ফারহান আখতার ও রিতেশ সিধওয়ানি প্রযোজিত কমেডি ঘরানার সিনেমা ‘হানিমুন ট্রাভেলস প্রা. লিমিটেড’ এ অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হন আমিশা। সদ্য বিবাহিত জীবনে পা রাখা দম্পতিদের নিয়ে বানানো হয় সিনেমাটি ।

ওই বছর ‘ভুল ভুলাইয়া’ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে দেখা যায় আমিশাকে। বিদ্যা বালানের মতো অভিনেত্রী থাকার পরও আমিশার অভিনয় নজর কাড়ে সবার।

২০১৩ সালে আব্বাস-মস্তান পরিচালিত অ্যাকশন ক্রাইম সিনেমা ‘রেস ২’ এ ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন আমিশা। সিনেমাটি ২০০৮ সালের সিনেমা ‘রেস’র সিক্যুয়েল। দ্বিতীয় সিকুয়েলে অভিনয় করেছেন সাইফ আলী খান, জন আব্রাহাম, দীপিকা পাড়ুকোন, অনিল কাপুর, জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ ও বিপাশা বসু। ‘রেস ২’ বিশ্বব্যাপী দারুণ ব্যবসা করেছে।