দ্বিতীয় সংসার ভেঙে যাওয়ার পর ২০০৭ সালে মাথা কামিয়ে ফেলেন এই পপ তারকা।
Published : 19 Oct 2023, 04:55 PM
কিশোর বয়সেই গান গেয়ে তারকা খ্যাতি পেলেও ক্যারিয়ার আর ব্যক্তি জীবনে নানা চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়েছে মার্কিন সংগীত শিল্পী ব্রিটনি স্পিয়ার্সকে। এর একটি পর্বের সাক্ষী হয়ে আছে তার ন্যাড়া মাথার ছবি।
তরুণ বয়সে একের পর এক বিচ্ছেদ এবং বাবার অর্গলে থাকার কঠিন সময়ের ঘটনাগুলো খবর হয়েছে গণমাধ্যমে। নিজের স্মৃতিকথা ‘দ্য উইমেন ইন মি’-তে সেগুলো তুলে ধরেছেন শিল্পী।
২০০৪ সালে ২৩ বছর বয়সে বাল্যবন্ধু জেসন আলেক্সান্ডারকে বিয়ে করলেও পরে আলাদা হয়ে যান। এরপর র্যাপার কেভিন ফেডারলিনের সঙ্গে সংসার শুরু করলেও ২০০৭ সালে সেই সম্পর্কেরও ইতি ঘটে। ওই বছরই মাথা ন্যাড়া করে আলোচনায় আসেন স্পিয়ার্স ।
দুঃখের সেই সময়ে কেন মাথা ন্যাড়া করেছিলেন, সেই রহস্য ১৬ বছর পর নিজের স্মৃতিকথায় খোলাসা করেছেন তিনি।
ব্রিটনি স্পিয়ার্স লিখেছেন, “বেড়ে ওঠার সময় আমাকে খুব বেশি অন্য চোখে দেখা হত। কিশোর বয়সেই আমাকে অনেক উত্থান-পতন দেখতে হয়েছে। লোকে আমার শরীর নিয়ে যা ভাবত, সেগুলো আবার আমাকে বলতও। সেসবের জবাব দেওয়ার জন্যই চুল ফেলে দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে ফেলি।”
পিপল ম্যাগাজিন জানিয়েছে, স্পিয়ার্স যখন মাথা ন্যাড়া করেন, তখন দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ আর দুই সন্তান নিয়ে খারাপ সময় যাচ্ছিল। সবসময় পাপারাজ্জিদের টার্গেটে ছিলেন তিনি। ন্যাড়া মাথায় ব্রিটনির চেহারায় তখনকার ভগ্নদশাই ফুটে ওঠে।
ব্রিটনির দ্বিতীয় বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর একের পর এক কাণ্ডে তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। সেই প্রেক্ষাপটে ২০০৮ সালে আদালতের এক আদেশে মেয়ের বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার পেয়েছিলেন বাবা জেমি স্পিয়ার্স।
নিজের স্মৃতিকথায় ব্রিটনি ওই গল্প তুলে ধরে বলেছেন, তার বাবা তার ব্যক্তিগত, আর্থিক ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়গুলোর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তার কিছুই বলার অধিকার ছিল না। সেটি জীবনের খারাপ সময়গুলোর একটি। একপর্যায়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ২০২১ সালে বাবার অর্গল থেকে মুক্তি পান।
ব্রিটনির ‘দ্য উইমেন ইন মি’ বইটি প্রকাশ হবে ২৪ অক্টোবর। সেখানে নিজের স্বাধীনতা, খ্যাতি, মাতৃত্ব, টিকে থাকা, আশা আর বিশ্বাসের কথা বলেছেন এই সংগীত শিল্পী।
১৬ বছর বয়সে ‘বেবি ওয়ান মোর টাইম’ গান দিয়ে সুপারস্টার খ্যাতি পেয়ে যান ব্রিটনি স্পিয়ার্স। এরপর ‘টক্সিক’, ‘ওম্যানাইজার অ্যান্ড উফস’ ও ‘আই ডিড ইট এগেইন’ এর মত সুপারহিট গান গেয়েছেন তিনি।
২০০৪ ও ২০০৭ সালে বিয়ে বিচ্ছেদের পর ব্রিটনি স্পিয়ার্স স্যাম আসগারিকে বিয়ে করেন। ৪১ বছর বয়সী ব্রিটনি স্পিয়ার্সের সঙ্গে ১২ বছরের ছোট স্যাম আসগারির বাগদান হয়েছিল ২০২১ সালে সেপ্টেম্বরে।
১০ মাস পর ২০২২ সালের জুনে ছোট পরিসরে কিন্তু তারকাবহুল অনুষ্ঠানে তারা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছিলেন। মাঝে স্পিয়ার্সের মা হওয়ার এবং কিছুদিন পর গর্ভপাতের খবরও আসে। কিন্তু বিয়ের ১৪ মাস পরই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এই দম্পতি।
আরও পড়ুন-
টিম্বারলেকের সঙ্গে প্রেমের সময় গর্ভপাতের ঘটনা আজও পোড়ায় স্পিয়ার্সকে
আসছে ব্রিটনির স্মৃতিকথা ‘দ্য উইমেন ইন মি’
‘মিথ্যা’ খবরে চটেছেন ব্রিটনি, ডেইলি মেইলকে আইনি নোটিস
‘মুক্ত’ ব্রিটনি ছাড়লেন হাঁফ; বললেন, ‘আজ আমি কাঁদব’