আগামী ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার জাতীয় নাট্যশালায় নাটকটির প্রদর্শনী করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
Published : 04 Jan 2023, 04:35 PM
বছরের শুরুতেই সেলিম আল দীনের ‘স্বর্ণবোয়াল’ মঞ্চে আনতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ।
বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা দুই সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার ল্যাবে নাটকটির মঞ্চায়ন হবে। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগের শিক্ষক ইউসুফ হাসান অর্ক।
স্নাতক (সম্মান) ৪র্থ পর্বের পরীক্ষা প্রযোজনা হিসেবে নাটকটি মঞ্চে আসছে বলে গ্লিটজকে জানিয়েছেন নির্দেশক ইউসুফ হাসান। তিনি বলেন, “পরীক্ষার অংশ হিসেবেই শিক্ষার্থীরা নাটকটি মঞ্চে আনছে। থিয়েটার ল্যাবে টিকিটের বিনিময়ে সকলের জন্যই প্রদর্শনী উন্মুক্ত।”
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার জাতীয় নাট্যশালায় নাটকটির প্রদর্শনী করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
নাটকটিতে অভিনয় করছেন নয়ন বিশ্বাস, নুসরাত তুবা, নুশিন আদিবা, আকাশ সরকার, জহিন আক্তার, মিথিলা জাহান, সোনিয়া ইয়াসমিন, মাহমুদা আক্তার, স্নেহা, শাশ্বতী বিশ্বাস অর্থি, রেজওয়ানা রহমান তিষা, হাফসা মীম, সামিয়া তাবস্সুম, কনোজ কান্তি রায়, দীপ বিশ্বাস, নওশেদ বিন ইসলাম, সাদেকুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, আরিফুল ইসলাম, হাছনাইন হোসেন, পার্থ কর্মকার, জোনায়েদ মাহমুদ, হিমু, সৌরভ, জাহিদ, মুন্না, শরীফ, চূড়ান্ত সাহা ও প্রান্তোষ ভট্টাচার্য্য।
ইউসুফ হাসান বলেন, “আমাদের প্রযোজনায় বাস্তব-বাস্তবতা, স্বপ্ন-স্বপ্নময়তা আমাদেরকে নিমজ্জিত করেছে জীবন-সায়রের অতল গভীরে। সেখানে গীত, রূপকল্প, ভক্তি, প্রেম এক অভিনব নাট্যকল্পের উদ্ভাসনে আমাদের স্নান করায়।"
নাটকটি নিয়ে
“অর্বাচীন জেলে পল্লীর স্বপ্নবাজ সর্দার খলিসা মাঝি স্বর্ণবোয়াল ধরবার খোয়াবে বিভোর। পিতৃত্বের জোরে সে তার সরলপ্রাণ সন্তান তিরমনের মনেও বুনে দিয়েছে সেই স্বর্ণবোয়ালের নেশা। প্রিয়তমা সাঁঝমালার মধুময় প্রেম আর স্বর্ণবোয়ালের কল্পনায় হাবুডুবু খাওয়া তিরমন জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতে নায়েবালি বয়াতির মহৎ জীবনবোধের চূড়াকে শেষ পর্যন্ত স্পর্শ করে ফেলে। প্রেমের বিচ্ছেদ, পিতৃবিয়োগের আশু যন্ত্রণা এবং স্বপ্নের স্বর্ণবোয়াল ধরবার পরেও হারিয়ে ফেলা- এসবের মধ্য দিয়েই তিরমন উপলব্ধি করে, জীবনের চরম অপ্রাপ্তি ও প্রাপ্তির হিসেব কতটা স্বচ্ছ। মানুষের জীবনের পরম প্রাপ্তিও যেন শূন্যতায় মিলিয়ে যায়, যেমন করে মিলিয়ে যায় পরম অপ্রাপ্তিটাও। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির চিরন্তন গণিতে মানবসভ্যতার বয়ে চলা। এই অনিবার্য গণিতেরও হিসেব ভেঙে কেউ কেউ লাভ করেন বোধিস্বত্ত্ব। যেই বোধে পৌঁছে গেলে মানুষ অতিক্রম করে ফেলে জাগতিক সমস্ত অঙ্ক। সেই বোধই কি হয়ে উঠেছে জাউলা পাড়ার স্বর্ণবোয়াল? নাকি রূপক উপমার সীমানা পেরিয়ে স্বর্ণবোয়াল একটা চিরন্তনী রহস্য, যার সমাধান কখনো মেলেনি কোথাও।”
নাটকটির সেট পরিকল্পনা করেছেন পঙ্কজ নিনাদ, পোশাক পরিকল্পনা করেছেন সামিউন জাহান দোলা। কোরিওগ্রাফি করেছেন স্নেহা ও ইউসুফ হাসান। আলো পরিকল্পনা করেছেন অম্লান বিশ্বাস।