নিজের চেহারা নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগছিলেন সেইন্ট কলুচ্চি, তা বদলাতে বার বার নিজেকে সমর্পণ করেছেন চিকিৎসকের ছুরির নিচে; আর তা তার মৃত্যু ডেকে আনল।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি হাসপাতালে কানাডিয়ান এই অভিনেতার মৃত্যুর খবর দিয়েছে ডেইলি মিরর।
যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্রটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলুচ্চি কে পপ ব্যান্ড বিটিএসের সদস্য জিমিনের চেহারার আদল চেয়েছিলেন।এজন্য বারবার প্লাস্টিক সার্জারি করাচ্ছিলেন তিনি।
২২ বছর বয়সী কলুচ্চি কোরিয়ান ড্রামা ‘প্রিটি লাইস এ অভিনয় করতে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন। অক্টোবরে একটি মার্কিন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে এর মুক্তি পাওয়ার কথা।
রোববার ভোরে দক্ষিণ কোরিয়ার এক হাসপাতালে কয়েক মাস আগের প্লাস্টিক সার্জারি সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগে কলুচ্চি মারা যান বলে তার ব্যক্তিগত সহযোগী এরিক ব্লেক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নিজের বর্গাকার চোয়াল ও চিবুক নিয়ে হীনমন্যতা ছিল কলুচচ্চির। তিনি ভি-আকৃতির মুখাবয়ব চাইছিলেন, যেমনটা এশিয়ানদের থাকে। নিজের পশ্চিমা চেহারা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি।
৬ ফুট উচ্চতার কলুচ্চি সোনালি চুল এবং নীল চোখের অধিকারী ছিলেন। কিন্তু তা বদলে পছন্দের আদল পেতে এ অভিনেতা যে ১২ বার অস্ত্রোপচার করান, তার বেশিরভাগই নাকে, ঠোঁটে, ভ্রুতে ছিল। তাতে তার মোট খরচ হয়েছিল প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার ডলার।
এরিক ব্লেক বলেন, ২০১৯ সালে কে-পপ তারকা হিসেবে পরিচিতি পেতে দক্ষিণ কোরিয়া পাড়ি জমান কলুচ্চি। সেখানে গিয়ে একের পর এক অস্ত্রোপচার করান, যদিও এর ঝুঁকি তাকে জানান হয়েছিল।
“ঝুঁকি সম্পর্কে জানার পরও চোয়াল প্রতিস্থাপনের ওপর জোর দিচ্ছিলেন তিনি।”
২০২২ সালে শেষ অস্ত্রোপচার হয়েছিল কলুচ্চির। কিন্তু তাতে দেখা দেয় জটিলতা। শনিবার রাতে চোয়াললে বসানো কৃত্রিম বস্তু অপসারণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার মৃত্যু হয় বলে জানান ব্লেক।