ভোটের টিকেট না পেয়ে সিদ্দিকের মন খারাপ, গেলেন দুবাই

মন খারাপ হলেও নৌকার পক্ষেই কাজ করবেন, জানালেন এই অভিনেতা।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 June 2023, 05:53 AM
Updated : 10 June 2023, 05:53 AM

বড় আশা নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন, চেয়েছিলেন ঢাকা-১৭ আসনে নৌকার প্রার্থী হতে; কিন্তু আশা পূরণ হয়নি, তাই মন খারাপ করে দুবাই গেলেন সিদ্দিকুর রহমান।

তবে এই অভিনেতা বলেছেন, খানিক মন খারাপ হলেও নৌকার বাইরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা তার নেই। আওয়ামী লীগ যাকে মনোনয়ন দিয়েছে, তার পক্ষেই ভোট করবেন তিনি।

ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তার মৃত্যুতে এই আসনে আগামী ১৭ জুলাই উপনির্বাচন হচ্ছে।

সেই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হতে সিদ্দিক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। তবে শুক্রবার দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত তার পক্ষে আসেনি।

এরপর ফেইসবুকে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “দুর্ভাগ্য হল যে আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-১৭ আসনের জন্য সিলেকশন করেনি। সেই কারণে একটু মন খারাপ।

“মানুষের মন খারাপ হলে কী করে? বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। তাই আমিও ঘুরতে দুবাই এসেছি এবং কেনাকাটা করছি। অনেকেরই মন খারাপ হলে ঘুরে বেড়ালে বা কেনাকাটা করলে মন ভালো হয়। আমারও তাই।”

Also Read: হিরো আলমের সঙ্গে ভোটের শখ ফেরদৌস, ড্যানি সিডাক, সিদ্দিকেরও

এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন টেলিভিশন ‘টক শো’তে পরিচিত মুখ মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি দলের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য।

দলের মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রয়েছে সিদ্দিকের সামনে। সেই সুযোগ তিনি নিচ্ছেন কি না, সেই প্রশ্ন ছিল ভক্তদের।

এ বিষয়ে সিদ্দিক বলেন, তা স্পষ্ট করতেই তার এই ভিডিও বার্তা।

নিজেকে ‘আওয়ামী লীগের লোক’, ‘নৌকার মানুষ’ এবং ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক’ হিসেবে তুলে ধরে তিনি বলেন “ঢাকা-১৭ আসন থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, আমি সত্যিকার অর্থে ওই মানুষটির পক্ষে কাজ করব, নৌকার হয়ে কাজ করব। কারণ আমি নৌকার বাইরের মানুষ নই।”

তিনি তার এলাকার অর্থাৎ বরিশালের যে সব মানুষ ঢাকার বনানী, ক্যান্টনমেন্ট বা ভাষানটেকে বসবাস করছেন, তাদের সবাইকে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

আরও যারা মনোনয়ন চেয়েও পাননি, তাদের উদ্দেশে এই অভিনেতার বার্তা হল, “আমি ছাড়াও যে ২১ জন নৌকার মাঝি হতে নমিনেশন পেপার তুলেছিলেন, তাদের মধ্যে আমার ‘বাবা’ সমতুল্য মানুষও ছিলেন, তাদের সবাইকে আমি একটা কথা বলতে চাই দিনশেষে কিন্তু আমরা প্রধানমন্ত্রীর সৈনিক হয়ে বাঁচতে চাই।

“সেজন্য আমি বলতে চাই, আসুন আমরা সবাই মিলে উন্নয়নের মার্কা নৌকার পেছনে থাকি। নৌকাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করা দরকার তাই করি।”