“দাদা বরাবর আমাদের থেকে পাঁচ মিনিট এগিয়ে থেকেছেন।“
Published : 04 Oct 2024, 07:34 PM
‘দেবী চৌধুরাণী’ সিনেমার শুটিং স্পটে পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় যে সময়ানুবর্তিতার পরিচয় দিয়েছেন, তাতে এই অভিনেতার কাছে পুরো টিম ‘হেরে গেছে’ বলে মনে করেন পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র।
এ সিনেমার নামই বলে দিচ্ছে, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের ঐতিহাসিক নারী চরিত্র ‘দস্যুরাণী দেবী চৌধুরাণী’কে নিয়ে আবর্তিত হয়েছে এর কাহিনী।
সিনেমায় মূল চরিত্র ‘দেবী চৌধুরাণী’র ভূমিকায় অভিনয় করছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। আর ভবানী পাঠক হয়ে সামনে আসছেন প্রসেনজিৎ।
আনন্দবাজারকে শুভ্রজিৎ বলেন, “সেটে আসার আগে মনোযোগী ছাত্রের মত প্রসেনজিৎদা আমাকে প্রশ্ন করতেন, কীভাবে শুটিং করা হবে। তার সঙ্গে যা আলোচনা হত, তিনি মাথায় গেঁথে নিতেন, ভুলতেন না। এছাড়া আমরা তার সময়ানুবর্তিতার কাছে হেরে যেতাম। দাদা বরাবর আমাদের থেকে পাঁচ মিনিট এগিয়ে থেকেছেন।
বিশেষ করে অভিনেতার ফিটনেস নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ পরিচালক। তিনি বলেন, “অ্যাকশন দৃশ্যে তার অভিনয় দেখে আমি থ! সব রকম সতর্কতা নিয়েই বিশাল বটগাছের উপর থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন তিনি। তার ফিটনেস দেখে যে কোনো অল্পবয়সী লজ্জায় পড়বেন।“
ভারত ও যুক্তরাজ্য সরকারের ২০০৭ সালের ইন্দো-ইউকে সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তির পথ ধরে যৌথভাবে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর সিনেমা মুক্তির তারিখ ঠিক করা হলেও তা হয়নি। আগামীতে বাংলা হিন্দি, ইংরেজি, তামিল, তেলেগু, মালয়ালম ও কন্নড় ভাষায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি। তবে এখনো তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
সিনেমায় দৃশ্যধারণ এবং পাত্রপাত্রীরা কেমন কাজ করেছেন সে বিষয়ে শুভ্রজিৎ বলেছেন, প্রসেনজিৎ নিয়েছেন দীর্ঘ প্রস্তুতি। এই অভিনেতা সময় নিয়ে ওজন বাড়িয়েছেন, দাড়িগোঁফেও ক্ষুর-কাঁচি ছোঁয়াননি। অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য নিজেকে তৈরি করেছেন পরিচালকের চাহিদামত।
নির্মাতার কথায় উঠে এসেছে প্রসেনজিৎ বন্দনা।
শুভ্রজিৎ বলেন, “উপন্যাস প্রসেজিৎ দাদার আগেই পড়া। তারপরেও আবার পড়েছেন। চিত্রনাট্য নিয়ে গবেষণার সমস্ত কিছু পাঠিয়ে দিতে বলেছিলেন। সে সব খুঁটিয়ে বুঝে নিয়েছেন।“
শুটিংয়ের সময়ে এই অভিনেতা নিজেকে কীভাবে তৈরি করেছেন জানতে চাইলে শুভ্রজিৎ বলেন, “প্রত্যেক দিন ধৈর্যের সঙ্গে এক ঘণ্টা ধরে রূপটান নিতেন। আবার শুটিং শেষে এক ঘণ্টা ধরে তুলতেন। মেকআপ ভ্যানে যখন বিশ্রাম নিতেন, তখনও তিনি চরিত্রের মধ্যে থাকতেন। বাড়তি কথা বলতেন না, হয় সংলাপ পড়তেন, নয়ত চোখ বন্ধ করে থাকতেন।“
তবে শুটিং স্পটে প্রসেনজিৎকে দেখতে লোকে লোকারণ্য হয়েছিল, যা সামলাতে টিমকে হিমশিম খেতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন শুভ্রজিৎ।