মুনমুন বলেন, " মা চেয়েছিলেন সাধারণভাবে বড় হই। সব সময় উপদেশ দিতেন সবকিছুর সঙ্গে আমি যেন অভ্যস্ত হই।"
Published : 11 May 2024, 12:28 PM
ভারতীয় বাংলা সিনেমার মহানায়িকা সুচিত্রা সেন তার একমাত্র সন্তান অভিনেত্রী মুনমুন সেনকে প্রচারের আলো থেকে বাইরে রাখতে চাইতেন।
কিংবদন্তী অভিনেত্রীর চেষ্টা ছিল, আভিজাত্য বা চাকচিক্যে নয়, আর দশটা সাধারণ পরিবারের মেয়েদের মত করে তার মেয়ে বড় হোক। মেয়ের বেড়া ওঠার সময়টা নির্দিষ্ট নিয়মের ঘেরাটোপে আটকে রাখতে চাননি সুচিত্রা।
মেয়েকে নিয়ে সুচিত্রার এমন জীবনাদর্শের কথা জানালেন অভিনেত্রী নিজেই।
টিভি নাইন বাংলাকে মুনমুন বলেছেন, সুচিত্রার মেয়ে হওয়ার জন্য তাকে নিয়ে সংবাদমাধ্যম বা সাধারণ মানুষের কৌতুহল কম ছিল না। কিন্তু সুচিত্রার চেষ্টা ছিল, এসব থেকে তাকে দূরে রাখার।
মুনমুনের শৈশব কেটেছে বিদেশে বোর্ডিং স্কুলে। ইংল্যান্ডে স্কুল জীবন কাটিয়ে মুনমুন কলকাতায় ফিরে লরেটো কলেজ থেকে স্নাতক এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেন।
মুনমুন বলেন, “মা চেয়েছিলেন সাধারণভাবে বড় হই। সব সময় উপদেশ দিতেন সবকিছুর সঙ্গে আমি যেন অভ্যস্ত হই। আমি সূচিত্রা সেনের কন্যা বলেই যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ি থেকে সব সময় নামব-উঠব বা পাঁচজনের সঙ্গে মিশব না, মা সেটা চাইতেন না। ট্রামে বাসে চড়েও কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করেছি।”
ছাত্রজীবনে বন্ধু সংখ্যা কেমন ছিল প্রশ্নে মুনমুন বলেন, “চার-পাঁচ জনের বন্ধুদের গ্রুপ ছিল। তাদের সঙ্গেই কলেজে যাতায়াত করেছি। এমনটাও হয়েছে যাদবপুর থেকে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড পর্যন্ত হেঁটেই বাড়িতে ফিরেছি। মা আমার কোনো কিছুতেই তেমন বাধা দেননি। যেমন ইচ্ছে পোশাক পরা যেত, যা ইচ্ছে তাই শেখা যেত। প্রতিটা ক্ষেত্রেই মা উৎসাহ দিয়েছেন।”
ছোট থেকেই ঘুরতে ভীষণ পছন্দ করতেন জানিয়ে মুনমুন বলেছেন, যদিও একটা সময়ের পর কাজের সূত্রে দেশ-বিদেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু ঘোরাঘুরি তেমন হয়নি বলেও আক্ষেপ রয়েছে মুনমুনের।
মুনমুন সেন সিনেমায় আসেন ১৯৮৪ সালে 'অন্দর বাহার' সিনেমা দিয়ে। ততদিনে বিয়ে হয়ে গেছে এবং মাও হয়েছেন তিনি।
বাংলা, হিন্দি, তামিল, তেলেগুসহ ৬০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন মুনমুন। তাকে পাওয়া গেছে টিভি সিরিয়ালেও। ২০১৪ সালে সুচিত্রার মৃত্যুর পর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতিতেও যোগ দেন তিনি। মুনমুনের দুই মেয়ে রাইমা সেন ও রিয়া সেন সিনেমায় এলেও নিয়মিত আছেন রাইমা।