আলোচনা-সমালোচনার মুখে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট মামলা তুলে নেওয়ার উদ্যোগ নিল।
Published : 28 Aug 2022, 08:27 PM
‘হাওয়া’ সিনেমার বিরুদ্ধে আদালতে গেলেও তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এখন সে পথ থেকে সরে আসতে চাইছে বন বিভাগ।
রোববার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সিনেমার পরিচালক কর্তৃক ‘আপস নিষ্পত্তি করার আবেদনের’ পরিপ্রেক্ষিতে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কর্তৃক দায়ের করা মামলাটি সমঝোতার ভিত্তিতে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
‘আপসের’ বিষয়ে হাওয়া নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনের কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
মামলার আবেদন প্রত্যাহারে রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন জমা দিয়েছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মাননীয় আদালত মামলা প্রত্যাহারের আবেদনের বিষয়টি গ্রহণপূর্বক শুনেছেন এবং পরবর্তী তারিখে রায় ঘোষণার জন্য ধার্য করেছেন।”
‘হাওয়া’ সিনেমার বিরুদ্ধে বন বিভাগের মামলার আবেদন
পাখিটি মুক্ত করে এখন দেখি নিজেই বন্দি: হাওয়া নির্মাতা
হাওয়া সিনেমা দেখার পর গত ১৭ অগাস্ট বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকার আদালতে মামলার আবেদনটি করেছিল।
সিনেমাটিতে শালিক পাখিকে খাঁচায় বন্দি রাখা, মেরে খাওয়ার দৃশ্যগুলো বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ লঙ্ঘন হয়েছে বলে সেই আবেদনে বলা হয়েছিল।
গত ২৯ জুলাই দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পায় ‘হাওয়া’। দীর্ঘদিন পর দেশে চলচ্চিত্র অঙ্গনে সাড়া ফেলে সিনেমাটি।
তবে সিনেমাটিতে বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন প্রাণী অধিকারকর্মীরা। তারপর সিনেমাটি দেখে মামলার সিদ্ধান্ত নেয় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
তবে হাওয়ার নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন বরাবরই বলে আসছিলেন, সিনেমায় সত্যিকারের কোনো বন্যপ্রাণীকে মারা হয়নি।
এরপর অভিনয়শিল্পী, নির্মাতা, কলাকুশলীরা সরব হওয়ার পর মামলা প্রত্যাহারের আবেদন হল।