‘তোমার জাদুকরি কণ্ঠ চিরকাল বেঁচে থাকবে’

কৃষ্ণকুমার কুনাথের মৃত্যুতে বলিউডে যেন আরেকটি ইন্দ্রপতন ঘটল; সুরের ইন্দ্রজালে যুগের পর যুগ ধরে শ্রোতাদের বুঁদ রেখেছিলেন তিনি।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 June 2022, 03:25 PM
Updated : 1 June 2022, 03:25 PM

শ্রোতাদের কাছে কে কে নামে পরিচিত এ শিল্পীর মৃত্যুতে বলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে ঢালিউডের শিল্পীরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোকগাঁথা লিখেছেন।

সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা কে কে’র সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন: “কিছুক্ষণ আগে কে কে’র মৃত্যুর খবরটা শুনলাম। আমার দুঃখ প্রকাশ করার ভাষা নেই। সংগীকে আমার ৫০ বছরপূর্তি উদযাপনের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ছবিটি তোলা হয়েছিল, যেখানে কে কে গান পরিবেশন করেছিলেন।”

গীতিকার প্রিন্স মাহমুদ লিখেছেন: “আমার চোখ ভরে আসছে, চোখ ভরে আসছে সত্যিই। আর কিছু লেখার জন্য কোনো শব্দ পাচ্ছি না। ভেতরে ভেতরে মনে হচ্ছে ‘আগর মিলে খুদা-তো, পুছুঙ্গা খুদায়া’ এমন স্বর্গীয় সম্পদ এমন আশীর্বাদ দিয়ে যারে পাঠিয়েছিলে এমন তাড়া করে তারে কেন নিয়ে গেলে?”

ইনস্টাগ্রামে কে কে’র ছবি পোস্ট করে অভিনেতা রণবীর সিং ভগ্ন ‍হৃদয়ের ইমোজি দিয়ে দুঃখগাঁথা প্রকাশ করেছেন।

সংগীত শিল্পী মোহিত চৌহান লিখেছেন: “এটা ঠিক হলো না ম্যান, এটা তোমার যাওয়ার সময় নয়। আমরা গান নিয়ে একসঙ্গে ট্যুরের ঘোষণা দিলাম, তুমি কীভাবে চলে যেতে পারলে?”

ভিকি কুশল লিখেছেন: “তোমার জাদুকরি কণ্ঠ চিরকাল বেঁচে থাকবে। তোমার অমলিন গানের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।”

মিকা সিং লিখেছেন, “মেধাবী ও বিনয়ী শিল্পী কে কে চলে গেলেন। ইশ্বর, কী ঘটছে?  তার আত্মার শান্তি কামনা করি।”

বিবেক ওবেরয় লিখেছেন: “তার কণ্ঠ সবসময় আমরা ভালোবাসি।”

কলকাতার নজরুল মঞ্চে গান পরিবেশন করে হোটেলে ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়; চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে তার।

বুধবার বিকালে কলকাতার রবীন্দ্র সদনে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার কফিন রাখা হয়েছিল; কলকাতার মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

‘হাম, রেহে আ না রেহে কাল’ গানে তাকে বিদায় জানিয়েছেন অনুরাগীরা।

তিনি হিন্দি, বাংলা, তামিল, তেলেগুসহ নানা ভাষায় গাইতেন। ১৯৯৯ সালে তার গানের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ হলেও তার আগেই তিনি বলিউড সিনেমায় গান গেয়ে নাম কুড়ান।

তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- হাম দিল দে চুকে সনমের ‘তাড়াপ তাড়াপ, দেবদাসের ‘ডোলা রে’, ও লামহে সিনেমার ‘ক্যায়া মুঝে প্যায়ার হ্যায়’, ওম শান্তি ওম সিনেমার ‘আঁখোমে মে তেরি’, বাঁচনা এক হাসিনো সিনেমার ‘খুদা জানে’, আশিকী-২ সিনেমার ‘পিয়া আযে না’।

গানের জন্য পাঁচ বার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতেন তিনি।