ওই চরিত্রটাকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম: সুনেরাহ

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত তরুণ অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল ‘ন ডরাই’-এর সার্ফারের চরিত্র থেকে বেরিয়ে একটি ওয়েব সিরিজের চরিত্রে ডুবেছিলেন মাস খানেক ধরে; তবে তাকে দেখতে ছোট লাগার কারণে শেষ পর্যন্ত সিরিজটি করতে পারেননি তিনি।

সাইমুম সাদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2021, 02:19 PM
Updated : 2 Feb 2021, 02:19 PM

ক্যারিয়ারের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ন ডরাই’-এ অভিনয়ের সুবাদে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পাওয়ার পর তার দায়িত্ববোধ স্বভাবতই বেড়েছে; ফলে পরবর্তী চলচ্চিত্রের চরিত্র নির্বাচনে আরও ‘খুঁতখুঁতে’ হয়েছেন সুনেরাহ।

গ্লিটজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি চিত্রনাট্য পেয়েছেন তিনি। তবে মন মতো চরিত্র খুব কম পাচ্ছেন। একটি পেলেও শেষ পর্যন্ত সেটি আর করা হয়ে উঠেনি।

“সেটা ওয়েব সিরিজ ছিল। ওই ক্যারেক্টারের তুলনায় দেখতে অনেক ছোট লাগছিল আমাকে। পরে আট কেজি বাড়ানোরও চেষ্টা করলাম। যত ওজন বাড়ে আমাকে দেখতে আরও ছোট লাগে! ওই চরিত্র আসলে আমার জন্য না।

“অনেকেই বলে, আমাকে ছোট লাগাটা অ্যাডভান্টেজ। কিন্তু আমার জন্য সেটা ডিসঅ্যাডভান্টেজ হয়ে দাঁড়ালো। তারপর থেকে আমার মন খারাপ। সবশেষ একমাস ধরে ওই চরিত্রটাকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। কিন্তু কাজটা হলো না, একটু মনটা খারাপ হয়েছে। দেখি সামনে কী করা যায়।”

সুনেরাহ বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়, তিন বছর বয়স থেকে ললিতকলা একাডেমিতে নাচ শিখেছেন তিনি। পড়াশোনা করেছেন রাজধানী উত্তরার স্কলাসটিকা স্কুলে।

স্কুলজীবনেই বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত নৃত্যশিল্পী ছিলেন। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ফ্যাশন মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগে একটি পোশাকের ব্র্যান্ডের বিলবোর্ডে দেখা গেছে তাকে; কাজ করেছেন বেশ কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতে। পরে দর্শকমহলে পরিচিত পেয়েছেন চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়ে।

চলচ্চিত্র নির্বাচনে কোন বিষয়টি বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন?-এমন প্রশ্নের জবাবে সুনেরাহ বলেন, “আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ডিরেক্টর আর গল্পের চরিত্র। ভালো ডিরেক্টরের হাতে পড়লে যা বলবে তাই করব। আমাকে যদি বলে, কয়দিন রাস্তায় বসে ভাত খেতে হবে, আমি সেটাই করব। আমার দুঃখের জায়গা ওটাই ওই ক্যারেক্টারটা (ওয়েব সিরিজের) করতে পারলাম না। আমি হয়তো পারফেক্ট ছিলাম না।”

একসঙ্গে অনেকগুলো চলচ্চিত্রে যুক্ত না হয়ে পছন্দসই একটি চরিত্রে যুক্ত থাকাকে প্রধান্য দিতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি একটা কাজ শুরু করলে সেটার জন্য ডেডিকেটেড হয়ে যাই; অন্য ফিল্মগুলো করি না। একেক সিনেমার চরিত্র একেক রকম হয়। একটা চরিত্রে ঢুকতে গেলে ওই সময়ে আরেকটা চরিত্র বোঝার চেষ্টা করি তখন আমার জন্য টাফ হয়ে যায়।

“আমি আগে থেকেই ভেবেচিন্তে কাজ করি এখন আবার মনে হচ্ছে দায়িত্ববোধ বেড়ে গেছে। কাজ কম করলেও সেটা আমার বেস্ট করব।”

চলচ্চিত্রে সুনেরাহর ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী?

“জীবনটা খুবই ছোট। আমার রাশি খারাপ, আমি বললে সেই কাজটা হয় না। ভালো ভালো কাজ করার ইচ্ছা, স্বপ্ন আছে। পরিচিত ডিরেক্টরদের সঙ্গে স্টোরিও শেয়ার করব। আমি না খেয়ে কাজ করতে রাজি। এমন কাজ করতে চাই না যেটা না করলেও চলবে।”