প্রথমে ধারণা করা হলেও এটা স্ট্রোক নয় বলে জানিয়েছেন গায়ক সাহেদের বন্ধুস্থানীয় চিকিৎসক রুবাইয়াত রহমান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চিকিৎসক গ্লিটজকে জানান, পরশুদিন সকালের নাস্তার পর সাহেদের বমি শুরু হয়। এরপর দুপুরের খাবারের পরেও অবস্থার উন্নতি না হলে এই গায়ক রুবাইয়াতের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিৎসার পরামর্শ নেন।
ডা. রুবাইয়াত বলেন, “আসলে অতিরিক্ত বমি হওয়ার কারণে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ ও পানি হারানোর ফলে তিনি দুর্বল হয়ে গেছেন। গতকাল রাতে তাকে প্রথম ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎকরা তার ইসিজি পরীক্ষায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় পরে তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নেওয়া হয়।”
“ভালো খবর হল ইব্রাহিম কার্ডিয়াকে হৃদঘটিত নানান সমস্যার যে পরীক্ষা করা হয়েছে সেখানে তার ‘স্ট্রোক’ হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়নি। তবে সহজ ভাষায় বলতে গেলে আমাদের শরীরে স্বাভাবিক মাত্রায় যে লবণ ও পানি থাকে সেটা তার শরীরে বেশ কম। আর পানিশূন্যতা বৃক্কেও প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত বমি হওয়ার কারণেই এমনটা হয়েছে বলে আমি মনে করছি।”
বর্তমানে গায়ক সাহেদ আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন।
কণ্ঠশিল্পী সাহেদ নিজস্ব ঢঙে গান পরিবেশন করেন, যা আধুনিক সময়ে অনেকে জীবনমুখী সংগীত হিসেবে আখ্যায়ীত করেন।
তার প্রথম অ্যালবাম ‘প্রভু’ প্রকাশিত হয় ১৯৯১ সালে। প্রকাশিত অন্যান্য অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে ‘চিলেকোঠা’, ‘গান নেবেন গান’, ‘ক্লাসরুমে বসে শেখা’, ‘উটপাখির ডিম’, ‘গাছ এবং কাণ্ড’।
এককভাবে সংগীত পরিবেশন করা ছাড়াও তার ‘গাছ’ নামে ব্যান্ডও রয়েছে।
গান ছাড়াও বাংলাভিশন চ্যানেলে প্রচারিত ‘রাত বিরাতে’ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে তিনি নিজেকে অন্যভাবে উপস্থাপন করেছেন। এছাড়া রেডিও মাধ্যমেও রেয়েছে তার পদচারণা।