যেটিতে প্রথমবারের মতো অভিনয় করছেন মোস্তাফিজ শাহীন।
থিয়েটারের চেনামুখ- নাটক অন্তঃপ্রাণ মোস্তাফিজ শাহীনকে বিভিন্ন চরিত্রে দেখা গেছে। কিন্তু মিউজিক ভিডিওতে এই প্রথম। তাও সাকীর গানে এবং নির্দেশনায়।
সাকী এবং শাহীনের মাঝের সম্পর্কটা বেশ মজার। কাছের দুই বান্ধবীর জীবনসঙ্গী এই দুজন এখন বেশ ভালো বন্ধু।
সংগীত শিল্পী ফারহিন খান জয়িতা এবং শাহীনের সংসার পুরানো হলেও মাত্র বছর খানেক আগে গাঁটছড়া বেঁধেছেন এশা ইউসুফ এবং সাকী ব্যানার্জী। আর সাকী এখন প্র্রেমের টানে ভারতের সীমানা পেরিয়ে আছেন বাংলাদেশেই।
ঘরে বসে ‘লকডাউন’য়ে- তাই বলে কাজ থেমে নেই।
যার প্রমাণ এই মিউজিক ভিডিও ‘পিতা’।
গানটির নির্মাণে খুব বেশি কেউ ছিল না মোটেই। লকডাউনের নিয়ম মেনেই করা হয়েছে কাজ। বাড়ির কেয়ারটেকার কখনও লাইট ধরেছেন, কখনও আবার অন্য কেউ এগিয়ে দিয়েছেন প্রয়োজনীয় ‘প্রপস’।
অতি প্রাকৃতিক ঘরাণার এই মিউজিক ভিডিওতে ডিওপি’র কাজ করেছেন সামির আহমেদ। মিউজিক সমন্বয় করেছেন অ্যালেক্স বোস, পোশাক এবং সিজি’র কাজ করেছেন সাদাব জাফর। এই মিউজিক ভিডিওর প্রযোজক হলেন এশা ইউসুফ নিজে।
ঘরে বাইরে নিজেকে মেলে ধরা মানুষ শাহীনকে নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অভিজ্ঞতা কেমন সে প্রসঙ্গে সাকী বলেন, “আমরা ঠিক যেমন দেখি শাহীনকে তার ঠিক উল্টো রূপে এই ভিডিওতে দেখা যাবে তাকে। হৈ হৈ করা মানুষটা কেমন করে চরিত্রের সঙ্গে মিশে চুপ হয়ে যায় তার প্রমাণ এই ভিডিও।”
পিতা ও পুত্রের অভিমান নিয়ে তৈরি হওয়া এই গানে যে অভিমানের গল্প আছে তাতে ফুটিয়ে তুলতে তেমনটাই দরকার ছিল বলে মনে করেন শাহীন নিজেও।
শাহীন বলেন, “এটা আসলেই অন্যরকম কাজ। বন্ধু অভিনেতা রওনক হাসানও ব্যানার দেখে জানতে চেয়েছে বিষয়টা কী! গেটআপটাই এমন।”
সাকী যোগ করেন, “সাধারণত পিতাপুত্রের অভিমানটা আমাদের দেশে বা সংস্কৃতিতে কম দেখা যায়। এই গানে ওই দ্বন্দ্বটাই মূল আকর্ষণ। যে অভিমানে লুসিফার পিতাকে ছেড়ে যায়, অনেকদিন পর বাবার কাছে এসে প্রশ্ন করে- আসলেই কি তবে বাবা ঠিক ছিল নাকী সে নিজে?”
আর এই গল্পটাই দেখা যাবে এই গীতিছবিতে।
প্রসংজ্ঞক্রমে সদ্য ক্যাকটাস ব্যান্ড ছাড়া গায়ক ও গীতিকার সাকী জানান, ক্যাকটাস ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য সিধুর সঙ্গেও তার পিতাপুত্রের সম্পর্ক ও তার আলাপচারিতা সেই ছোটবেলা থেকেই।
গীতিকার বাবার সঙ্গে যেমন মান -অভিমানের খেলা, অনেকটা তেমনই।
ছেলেবেলা থেকে প্রায় সিধুর কাছেই বড় হওয়া সাকী যখন এই গানের খসরা পাঠান তখন সিধু অভিমানে সাকীকে ঠিক গানটির মতোই প্রশ্ন করেন।
এই পিতা ও পুত্রের স্থানে নিজেকে ও সাকীকে বসিয়ে গানটা নিজের মনের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলেন সিধু।
শাহীনও জানলেন, “গানটি শুনতে শুনতে একটা সময়ে বুকের মাঝে স্থান করে নেয়। এটাই এই গানের সবচেয়ে বড় গুণ।”
উল্লেখ্য এই লকডাউনে এটি সাকীর তৃতীয় কাজ। তবে নির্দেশনায় এই প্রথম। নতুন উদ্যোমে কাজ করার জন্য এভাবে নিজেরই নিজেদের সহযোগিতা করার বিষয়টা বেশ ইতিবাচকভাবেই দেখছেন শাহীন এবং সাকী।
বিশেষ করে বন্ধু বান্ধব সবাই একই কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়াতে কাজটি আরও আনন্দদায়ক হয়েছে তা বলার আর অপেক্ষা রাখেনা বলে জানান এই দুই শিল্পী।
বিশেষ করে এশা এবং জয়িতার উৎসাহ-অনুপ্রেরণা এই কাজের পেছনের মূল শক্তি।
পিতা গানছবিটি ১৫ সেপ্টেম্বর সাকির নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে উন্মুক্ত হবে।