“আমার এখনও খারাপ লাগছে না”- এভাবেই বললেন সাফা কবির আলাপের শুরুতেই।
হচ্ছে না শুটিং। বা কোনো কাজের আলাপ। তাতে অনেকেই বিরক্ত যারা রোজ অভ্যস্ত ’লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন’ এই তিন শব্দের সঙ্গে। তবে এখনও নিজেকে বিরক্ত বলতে নারাজ সাফা কবির।
সাফা বলেন, “এটা শুধু বাংলাদেশ না- সারা বিশ্বের জন্য একটি দুঃসময়। দুঃস্বপ্নের মতই। আমার বিশ্বাস এই সময়ে ধৈর্যই একমাত্র মুক্তির উপায়।”
একারণেই এই সময়টাকে যতটা সম্ভব উপভোগ করছেন। জানালেন, ‘গ্রীষ্মকালীন ছুটি’ মনে করে আপাতত সময় কাটাচ্ছেন। টুকটাক রান্না করছেন। অল্প আয়োজনে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার যাকে বলে- ততটুকুই করছেন।
কিন্তু আর্থিকভাবে ক্ষতির আশঙ্কাতে আছেন তিনিও।
সাফা বলেন, ‘মাস শেষে আমারও অনেক নিয়মিত খরচ আছে। যারা আমার উপর নির্ভরশীল। আর আমি কিন্তু মিডিয়ার কাজের উপরেই নির্ভরশীল। একটু তো চিন্তা হচ্ছেই।’
তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে আরও বলেন, “রাতারাতি শুটিং হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। কারণ শুটিং মানেই জনসমাগম। আর এই অবস্থাতে সেটা করা আর নিজের জন্য গর্ত খোঁড়া একই কথা।
গ্লিটজকে তিনি আরও বলেন, “নিজেরা সচেতন না হলে এই অবস্থা মোকাবেলা সম্ভব নয়। আমরা যারা এখন সচেতন, আমাদের দায়িত্ব বাকিদের সচেতন করা। এটা হয়ত একটু কষ্টকর- কিন্তু অসম্ভব নয়।”
পরিশেষে সবাইকে সচেতন হয়ে পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোনিবেশ করার অনুরোধ করেন।
আর বলেন, “এই একটি শিক্ষা আমাদের জীবনভর মানা দরকার- ক্রান্তিকাল কাটলেও- সেটা হল নিজেকে- দেশকে তথা বিশ্বকে পরিচ্ছন্ন রাখার। সবাই এর গুরুত্ব বুঝুক, এটাই আমার প্রার্থনা।”