তৃতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর বাড্ডার ইউনাইটেড সিটি মাদানী এভিনিউয়ের ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাঠে শুরু কনসার্ট।
কনসার্টের শুরুতে মঞ্চে আসে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে গঠিত ব্যান্ড ‘স্পন্দন’। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা কালজয়ী গান ‘জয় বাংলা’ গানের মধ্য দিয়ে পরিবেশনা শুরু করে ব্যান্ডটি।
এরপর স্পন্দনের ‘স্কুল খুইলাছে রে’ এর মতো শ্রোতাপ্রিয় গানের তালে কণ্ঠ মেলাতে থাকেন দর্শকরা।
এরপর মঞ্চে আসেন তরুণ প্রজন্মের উঠতি সংগীতশিল্পী ঐশী। ‘তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিব’ দিয়ে পরিবেশনা শুরুর পর কণ্ঠে তোলেন ‘ছেড়ে দে নৌকা আমি যাব মদিনা’, ‘তোমার দিল কী দয়া হয় না’, ‘দমা দম মাসকালান্দার’।
ঐশীর পরিবেশনার পর প্রার্থণার বিরতি দেওয়া হয়। বিরতির পর মঞ্চে উঠবেন মমতাজ, ব্যান্ড ওয়ারফেইজ, নেমেসিস ও প্রীতম হাসান।
এর আগে ‘সত্য মিথ্যা যাচাই আগে ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’ স্লোগানে বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে মূল আয়োজন শুরু হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের পর শুরু হয় সংগীতায়োজন।
এ আয়োজনে সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। সভাপতিত্ব করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সবার জন্য উন্মুক্ত কনসার্ট রাত দশটা অব্দি চলবে।
এবার কনসার্টের আয়োজন করলো সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে সরকারের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন-এটুআই প্রকল্প, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি।
আয়োজকদের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর বাইরে রাজশাহী ও সিলেটেও অনুষ্ঠিত হবে কনসার্ট ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ। সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে এ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ পালন করা হলেও এক বছর পর দিবসের নাম পরিবর্তন করা হয়। এখন ১২ ডিসেম্বর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ পালন করছে সরকার।