শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয়শিল্পীদের নাম ঘোষণার কথা জানিয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। মুখে কুলুপ এঁটেছেন সুমন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে কিছুই বলতে নারাজ এ অভিনেতা। তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির তত্বাবধানে ‘মাসুদ রানা’র অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
বইয়ের ‘মাসুদ রানা’কে ঘিরে নিজের কল্পনা, ভালোলাগা আর স্বপ্নের কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাঠকদের সঙ্গে ভাগ করলেন সুমন।
গণমাধ্যমে আপনার ‘মাসুদ রানা’র চরিত্রে অভিনয়ের খবর এসেছে। এ ব্যাপারে আপনার কাছ থেকে জানতে চাই।
এবিএম সুমন: আমি এখন পর্যন্ত জানলাম না! কিন্তু অনেকগুলো কল পেয়েছি। (হা হা) আমি তো জানি না।
এবিএম সুমন: হয়ে গেলে তো অসাধারণ। কারণ এই প্রজেক্টে কথাবার্তা হওয়ার অনেক আগে থেকে বলতাম, বাংলাদেশে যদি কখনও মাসুদ রানা সিরিজ হয় তাহলে যদি অডিশনেও সুযোগ পাই তাহলে খুব খুশি হবো। ঘটনা আরও চার বছর আগের। সেই ২০১৪ সালে। তখন এই ফিল্মের কোনো কথাবার্তায় হয়নি।
আমি সবসময়ই মাসুদ রানা হতে চেয়েছি। ভেবেছিলাম, বাংলাদেশে যদি কোনোদিন বানায় তাহলে অডিশন দেবো। চারবছর পরে এটা হলো। জাজ বলল, বাংলাদেশ থেকে এখনকার অ্যাক্টরদের থেকে নেওয়া হবে। অডিশনে চান্স পেলাম, অডিশন দিলাম-এই আরকি। এখন যদি হয়ে যায় তাহলে মানে এর চেয়ে বড় কোনো ক্যারেক্টার আমার মাথায় কোনোদিন খেলেনি।
বইয়ের ‘মাসুদ রানা’র সঙ্গে আপনার পরিচয় কবে?
এবিএম সুমন: সেই বই খাতা আর ভিসিআরের যুগের কথা। এখনকার মতো ইন্টারনেট ছিল না। আমরা হলিউডের ফিল্মের হিরোদের দেখতাম, জেমস বন্ড যেভাবে স্যুট পরে সেখান থেকেই মনে হয়েছিল, মাসুদ রানাও এভাবেই টাই পরে। প্রথম যখন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে স্যুট পরতাম, মাসুদ রানার সেই ডায়লগ দিতাম। সেই প্রথম টাই পরার থেকে এই স্বপ্নের শুরু বলতে পারেন।
আপনার কল্পনার ‘মাসুদ রানা’ আসলে কেমন?
এবিএম সুমন: আমার মাসুদ রানা দেখতে আমার মতো। (হা হা) নানা জনের কল্পনায় এই চরিত্রের চেহারা বিভিন্ন রকম হলেও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কিন্তু একটাই। চেহারার বিষয়টি তিন হাজার জনকে জিজ্ঞাসা করবেন, কমন বর্ণনা আছে। তামাটে কালার, সুঠাম দেহ, চোয়াল ভাঙা।
এবিএম সুমন: যখন থেকে আমাকে বলল, এটার অডিশন দিতে পারব তখন থেকেই আমি অনেক বছর মার্শাল আর্ট প্রাকটিস শুরু করলাম। মাঝে ওয়ার্কআউট করা ছেড়ে দিয়েছিলাম। ইন্ডাস্ট্রিতে যেটা হয়, ওয়ার্কআউট খুব একটা পছন্দ করে না। ফলে ওই জায়গা থেকে আমি সরে এসেছিলাম। পরে এটার প্রিপারেশনের জন্য সাড়ে ৭ কেজি কমালাম। অডিশন দেওয়ার জন্য একজন মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষকও রেখেছিলাম।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার তত্বাবধানে প্রশিক্ষক খশরু পারভেজ রুনির কাছে অ্যাকশন দৃশ্যের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন?
এবিএম সুমন: এখন আমাদের কয়েকজনকে প্রস্তুতি নেওয়াচ্ছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। এটি অবশ্যই সত্য । জাজের তরফ থেকে রুমী ভাই আমাদের প্রাকটিস করাচ্ছেন। ব্যাপারটা এই রকম যে, যাই হোক তোমরা প্রাকটিসে থাকো, নট এভার হ্যাপেন।
সেখানে অনুশীলন কেমন চলছে?
এবিএম সুমন: শুরু করলাম আগস্টের শেষ থেকে। এখনও করছি। করে যাব। ফলাফল যেটাই হোক। আমার বাসা মোহাম্মদ পুর। সেখান থেকে শান্তিনগরে সপ্তাহে ছয়দিন যাতায়াত করছি প্রশিক্ষণের জন্য। ফিঙ্গার ক্রসড!