‘সৃজনশীল জাতি গঠনে কপিরাইট আইনের প্রয়োগ দরকার’

সৃজনশীল জাতি গঠনে কপিরাইট আইনের যথাযথ প্রয়োগের তাগিদ দিলেন আন্তর্জাতিক কপিরাইট দিবসে আয়োজিত এক সেমিনারের আলোচকরা।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2019, 12:05 PM
Updated : 23 April 2019, 01:46 PM

মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় গ্রন্থাগার ভবন মিলনায়তনে ‘সমকালীন বিশ্বে কপিরাইট আইনঃ সম্প্রচার ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের বিকাশ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, “ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোকে একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা হলে গীতিকার, সুরকার ও কন্ঠশিল্পী এবং প্রযোজকদের অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে। সৃজনশীল ব্যক্তিবর্গের আর্থিক ও নৈতিক অধিকার সুরক্ষার জন্য কপিরাইট আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে একটি সৃজনশীল মেধাবী জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে।”

তিনি জানান, বাংলাদেশের কপিরাইট আইনকে জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কপিরাইট অফিসে ই-কপিরাইট সেবা চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি কপিরাইট সংশ্লিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেজিস্ট্রার অফ কপিরাইট জাফর রাজা চৌধুরী।  

এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন লাইসেন্স কালেক্টিং সোসাইটি ফর সিনেমাটোগ্রাফির প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার ওলোরা আফরিন।

তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টের অনুমোদিত ব্রডকাস্টিং সংক্রান্ত সাম্প্রতিক নির্দেশমালার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “এর মাধ্যমে আর্টিষ্ট, মিউজিশিয়ান ও প্রকাশকরা ইন্টারনেট ব্যবহারের দ্বারা রয়্যালটি পাবেন। ইউটিউবের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো যেকোনো কনটেন্ট আপলোডের ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ থাকবে।”

মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স এডিটিং বিভাগের খন্ডকালীন শিক্ষক খান মাহাবুব ও জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, “বাংলাদেশ কপিরাইট আইনকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য কপিরাইট অফিসে ই-কপিরাইট সেবা চালু, কপিরাইট সংশ্লিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

“ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোকে একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা হলে গীতিকার, সুরকার ও কন্ঠশিল্পী ও প্রযোজকদের অধিকার সুরক্ষা দেওয়া নিশ্চিত করা যাবে।”

এবার কপিরাইট রেজিস্ট্রেশনকৃত সাংস্কৃতিক কন্টেন্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রকাশের মাধ্যমে স্বত্বাধিকারীর কপিরাইট-স্বত্ব সুরক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য লাইভ টেকনোলজিস লিমিটেড ও কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ই-কপিরাইট সিস্টেম প্রনয়নে কারিগরি সহায়তা প্রদান করায় ইপসিতা কম্পিউটারস্ প্রাইভেট লিমিটেড এবং ই-কপিরাইট সিস্টেম প্রনয়নে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করায় একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম-এ তিনটি প্রতিষ্ঠান এবং কাঠের গুড়ো থেকে কয়েল খড়ি শিরোনামের বিশেষ দাহ্য জ্বালানী তৈরির তাত্ত্বিক, প্রযুক্তিগত ও যান্ত্রিক সৃজনশীল উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরুপ আনোয়ারুল আজিম খানকে কপিরাইট অফিসের পক্ষ থেকে মেধাসম্পদ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী ফরিদা পারভিন, দিলরুবা খান, বাদশা বুলবুল, ব্যান্ডশিল্পী মাকসুদুল আলম, ইউপিএল সভাপতি মাহরুক মহিউদ্দিন, নাটকের প্রযোজক ও পরিচালক এফ. জামান তাপস, বাংলাদেশ আইপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট নেয়ামত হোসেন, বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের সভাপতি নুরুল হুদাসহ আরও অনেকে।