২০১৬ সালের সেরা চলচ্চিত্র ‘অজ্ঞাতনামা’। চলচ্চিত্রটির জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে তৌকির আহমেদ ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রাভিনেতা হিসেবে ফজলুর রহমান বাবু প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে গ্রহণ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। রোববার পুরস্কার প্রাপ্তির পর নিজের প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে কিছু প্রস্তাবও রাখলেন নির্মাতা তৌকির।
অজ্ঞাতনামা’র পুরস্কারপ্রাপ্তিতে উচ্ছ্বসিত তৌকির বললেন, “জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আমার কাছে একটি বিশেষ সম্মাননা, বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এটিই সর্বোচ্চ পুরস্কার। যারা আমাকে ও আমাদের দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ। ভালো চলচ্চিত্র তার গুণে সময়কে অতিক্রম করে। মানুষের ভালোবাসাই একটি চলচ্চিত্রের জন্য সর্বোচ্চ পুরস্কার। ‘অজ্ঞাতনামা’ আপনাদের সেই পুরস্কার পেয়েছে আগেই।”
নিজের প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের নানা সঙ্কট নিয়েও মুখ খুললেন তৌকির। ২০১৬ সালের পুরস্কার দুই বছর পিছিয়ে ২০১৮ তে প্রদান করার বিষয়টিকে চলচ্চিত্রের ‘সেশন জট’ আখ্যা দিয়ে তৌকির বলেন, “এই সেশন জট দূর করা দরকার। পুরস্কারটি ২০১৭ এর মধ্যেই হলেই ভালো হত। না হলে এর আনন্দ যেমন ফিকে হয় একই সঙ্গে দর্শকের মনেও গুরুত্ব কমে।”
শুধু তাই নয়, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানও গুরুত্ব সহকারে সুন্দর ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় হওয়া উচিত বলে মনে করেন তৌকির। বিভিন্ন সময় বিচারকাজের ত্রুটিতে বিতর্কিত হয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। গল্প চুরি করে নির্মাণের পরও পুরস্কার পাওয়াসহ কাজ না করেই পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকায় নাম চলে আসার মতো ঘটনাও ঘটেছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে।
এ প্রসঙ্গে তৌকির বলেন, “জুরি বোর্ডেরও আরও দায়িত্ব সহকারে সকল তদবির ব্যক্তি ও গোষ্ঠি স্বার্থের উপরে উঠে বিচারকার্য সম্পন্ন করা জরুরি, নিরপেক্ষতার ঘাটতি অযোগ্য লোকের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়। তাতে সার্বিক অনুষ্ঠানের গুরুত্ব হানি হয়।”
তৌকির মনে করেন, কোনো শাখায় মানসম্মত প্রতিযোগী না থাকলে সেই শাখায় ওই বছর পুরস্কার নাও দেওয়া যেতে পারে।
তার ভাষ্যে, “মনে রাখতে হবে এই পুরস্কার চলচ্চিত্রের জন্য অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে, পক্ষপাতিত্ব বা তদবিরের সংস্কৃতি ত্যাগ না করলে ক্ষতি সার্বিক ভাবে এদেশের চলচ্চিত্রেরই।”