যেমন ছিলাম তেমনই আছি: মানতাসা

১২ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে ‘চ্যানেল আই প্রেজেন্টস লাক্স সুপারস্টার’ নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মিম মানতাসা। শনিবার সন্ধ্যায় গ্লিটজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন নিজের বেড়ে উঠা, ক্যারিয়ার ভাবনা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা।

সাইমুম সাদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2018, 01:50 PM
Updated : 13 May 2018, 11:14 AM

গ্লিটজ: বিজয়ী হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?

মিম মানতাসা: অনেক ভালো লাগছে। আমার আশেপাশের মানুষরা দারুণ খুশি। সবাই শুভকামনা জানাচ্ছে।

গ্লিটজ: এখন জীবনযাত্রায় কি কোনো পরিবর্তন দেখছেন?

মিম মানতাসা: অবশ্যই অনেক ভালো লাগছে। খুব বেশি পরিবর্তন এখনও বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে, যেমন ছিলাম তেমনই আছি। তবে দায়িত্বটা অনেক বেড়ে গেছে। অনেক কাজ করতে হবে।

গ্লিটজ: কিন্তু পরিচিতি পেয়েছেন নিশ্চয়ই। এটাকে কীভাবে উপভোগ করছেন?

মিম মানতাসা: এটা অনেক সুন্দর। অনেক ভালো লাগছে। মানুষের ভালোবাসা পেতে কে না ভালোবাসে।

গ্লিটজ: স্বপ্নের পথে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা পেয়েছেন কার কাছ থেকে?

মিম মানতাসা: আমার বোন মাহমুদা আক্তার স্নিগ্ধার কাছ থেকে। উনি সবসময় বলতেন, ‘তুমি পারবা, এটা করে দেখ।’ ওনার প্রতি সবসময় আমার কৃতজ্ঞতা থাকবে।

গ্লিটজ: আপনার জন্ম ও বেড়ে উঠা কোথায়?

ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

মিম মানতাসা:
জন্ম পাবনায়। পাবনার আদর্শ গার্লস হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও মহিলা কলেজ থেকে এইচএইসসি পাস করি। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় ভর্তি হয়েছি। তবে পাবনায় বেশিদিন থাকা হয়নি। বাবার চাকরির সুবাদে ঢাকায় ছিলাম বেশিরভাগ সময়। মাঝখানে রাজশাহীও ছিলাম কিছুদিন।

গ্লিটজ: কী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন ছোটবেলায়?

মিম মানতাসা: ছোটবেলায় ভাবতাম মহাকাশচারী হব। পরে ইচ্ছা হলো, পেইন্টার হব। সেই হিসেবেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় পড়ছি। তখন মনে হয়েছিল, চারুকলায় আমি ভালো করব।… আমি আর্টিস্ট হব, এর চেয়ে বড় কথা আমার ড্রয়িং করতে ভালো লাগে।

গ্লিটজ: তাহলে আপনার স্বপ্নের তালিকায় অভিনয় ছিল না। হুট করে এদিকটায় ঝুঁকলেন কীভাবে?

মিম মানতাসা: ‘চ্যানেল আই প্রেজেন্টস লাক্স সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্তটা হুট করেই নিয়েছি। কারণ আমি আসলে নিজেকে আরও ভালোভাবে জানতে চাই। আশেপাশের মানুষ সবসময়ই বলেছে, তুমি এটাতে (অভিনয়) ভালো করবে। তাই আমিও নিজেকে দেখতে চেয়েছি-আমি আসলেই পারব কিনা।

গ্লিটজ: বিষয়টি কখন ভাবলেন?

মিম মানতাসা: অভিনয় করব কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিইনি আগে। নিজেকে শুধু একটা চান্স দিয়েছি। জানতে চেয়েছি, আমি আসলে কতদূর করতে পারব। আমার ভাবনাগুলো কতটুকু সত্যি, মানুষ আমাকে কীভাবে নেবে-এটা দেখার জন্যই আমি এখানে এসেছি।

গ্লিটজ: গ্রুমিংয়ের চার মাস কেমন কেটেছে?

মিম মানতাসা: সবকিছুই চ্যালেঞ্জিং ছিল। যেহেতু আমি একদমই নতুন। গ্রুমিংয়ে প্রতিটা কাজই আমি শিখেছি।

গ্লিটজ: স্বপ্ন তো পূরণ হলো। এবার অভিনয়ে কীভাবে নিজেকে এগিয়ে নিতে চান?

ফেইসবুক থেকে নেওয়া।

মিম মানতাসা:
অভিনয়ের অনেক কিছুই শিখতে হবে, অনেক কিছুই জানতে হবে। প্রথমে আমি অবশ্যই শিখতে চাই। পরে ভাবব অভিনয়ের বিষয়টা। মাত্র বিজয়ী হয়েছি। ফলে এখনও খুব বড় পরিকল্পনা করিনি। আমি এখনও ক্যাম্পে। একটা নাটকের কথা আছে তাহসান ভাইয়ের সঙ্গে। সেটা থেকেই শুরু করব।

গ্লিটজ: প্রতিযোগিতায় তাহসান ছিলেন আপনার বিচারক, এখন তাকে পাচ্ছেন সহশিল্পী হিসেবে। অনুভূতি কেমন?

মিম মানতাসা: এটা অবশ্যই আমার বড় পাওয়া। অদ্ভুত এটা অনুভূতি। অনেক কিছুই ওনার কাছ থেকে শিখব আশা করি।

গ্লিটজ: নাটকে কী চরিত্রে অভিনয় করছেন?

মিম মানতাসা: এখনও আমি স্টোরিটা পড়িনি। শুধু এতটুকু জেনেছি, কাজটা করতে হবে।

গ্লিটজ: আপনার প্রিয় অভিনয়শিল্পী কে?

মিম মানতাসা: প্রিয়াংকা চোপড়াকে অনেক ভালো লাগে। উনার অ্যাটিচ্যুড আমার পছন্দের। আর ভালো লাগে উইল স্মিথকে।

গ্লিটজ: কী ধরনের সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন?

মিম মানতাসা: সব ধরনের চলচ্চিত্র দেখতেই ভালো লাগে। এক ধরনের সিনেমা একটা মানুষ সবসময়ই দেখবে-বিষয়টা এমন না।

গ্লিটজ: এ ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে অনেকে সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন। আপনি কী ধরনের কাজ করতে চান?

মিম মানতাসা: বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করতে চাই। এরকম অনেক বাচ্চা আছে যারা অনাথ, পড়াশোনা করতে পারে না। তাদের শিক্ষায় আলোকিত করতে চাই। তাদের জীবনটা সুন্দর করে তুলতে চাই।