মুমতাজে শুরু জ্যোতি-তে শেষ ‘মায়া’

টানা শুটিংয়ে শেষ হলো চলচ্চিত্র ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’-এর চিত্রায়ন।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2018, 12:36 PM
Updated : 21 March 2018, 12:36 PM

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মাসুদ পথিকের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’-এর চিত্রায়ন সম্পন্ন হয়েছে। টানা ৩২ দিনের শুটিংয়ে চলচ্চিত্রটির চিত্রায়ন শেষ হলো বুধবার। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল চলচ্চিত্রটির শুটিং।

চলচ্চিত্রটিতে বীরাঙ্গনা মায়ের দুই কন্যার চরিত্রে অভিনয় করছেন ভারতীয় অভিনেত্রী মুমতাজ সরকার ও দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি।

নির্মাতা জানান, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা শুটিংয়ে অংশ নিয়ে মুমতাজ সরকার ফিরে গেছেন ১০মার্চ।

অন্যদিকে, নরসিংদীর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে চলচ্চিত্রটির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন জ্যোতি। গ্রাম্য তরুণী কৃষকের চরিত্রে ৬ মার্চ থেকে ১৯মার্চ পর্যন্ত শুটিং করেছেন জ্যোতি।

চলচ্চিত্রটিতে নিজের চরিত্রটি প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, “এ চলচ্চিত্রটির আসলে দুইটি অংশ। একটি হচ্ছে যুদ্ধশিশুর পার্ট। অন্যটি হলো মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের স্ট্রাগল পার্ট।

আমারটা হচ্ছে সেই স্ট্রাগল পার্টটা। একজন গ্রাম্য বিধবা তরুণী। আমার একা চলার গল্প। একজন যুবকের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক থাকে আমার।

কিন্তু নিজের জীবনের সংগ্রাম নিজেকেই করতে হয়। কষ্ট করে হলেও বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাই। সমাজের সাথে লড়াই করি।”

চলচ্চিত্রটিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে জ্যোতি আরও বলেন, “স্ক্রিপ্ট পড়ার পর শুটিং করতে গিয়ে যখন দেখেছি নির্মাতা আরও ডিটেইল চাইছেন সেটা ভালো লেগেছে। সবাই মিলে খুব আন্তরিকভাবে কাজ করেছে।

গ্রাম্য তরুণীর চরিত্রে আরও অভিনয় করেছি কিন্তু একজন ছেলে যা যা করে তাই করতে হয়েছে। চাষবাস, হালচাষ । আমার নির্মাতা ধরতে চেয়েছেন চিরায়ত বাংলার নারী, কিন্তু অনেক আধুনিক। এমন অনেক কাজই করতে হয়েছে যা আমি কখনো করিনি।”

নির্মাতা মাসুদ পথিক বলেন, “চিত্রনাট্য অনুযায়ী খুব চমৎকার শুটিং হয়েছে। প্রত্যাশার তো শেষ নেই। তবে কখনো কখনো প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে প্রাপ্তি।”

বাংলাদেশের খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ-এর চিত্রকর্ম ‘নারী’ এবং কবি কামাল চৌধুরীর ‘যুদ্ধশিশু’ কবিতা অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্রটি।

সিনেমাটিতে মুমতাজ, জ্যোতি ছাড়াও অভিনয় করছেন, হাসান ইমাম, প্রাণ রায়, রানী সরকার, দেবাশীষ কায়সার, ঝুনা চৌধুরী এবং প্রায় ২০ জন কবি।