ঢাকা-১০ আসনে ফেরদৌসের প্রতিদ্বন্দ্বী কেবল দুইজন। তবে এ চিত্রনায়ক মনে করেন ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী মাত্রই শক্তিশালী।
Published : 18 Dec 2023, 01:16 PM
রুপালি পর্দা থেকে রাজনীতির ময়দানে আসা চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেছেন, জয়ী হতে পারলে বিজয়ী হতে পারলে তিনি বিজয়মালা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গলায়; নিজের আসন উৎসর্গ করবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
সোমবার সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীক বুঝে পাওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন ঢাকা-১০ আসনের এ প্রার্থী।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম এ প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।
ধানমন্ডি, নিউ মার্কেট, কলাবাগান, হাজারীবাগ এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১০ আসনে এবার জমা পড়েছিল ১১টি মনোনয়নপত্র; তার মধ্যে আটটিই বাছাইয়ে বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ফেরদৌস ছাড়া বৈধ প্রার্থী হিসেবে টেকেন কেবল জাকের পার্টির মো. হুমায়ুন কবীর এবং জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান।
এই পরিস্থিতিতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর অভাব অনুভব করছেন কী না, সেই প্রশ্নে ফেরদৌস বলেন, “ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী মাত্রই শক্তিশালী। কারণ সাধারণ মানুষ গোপনে কাকে ভোট দেবেন তা আসলে আমরা কেউ জানি না। সুতরাং আমি মনে করি ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী মানেই সবাই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী।”
তবে শেষ পর্যন্ত বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলেই আশাবাদী এই চিত্রনায়ক।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রতীক বরাদ্দের কার্যক্রম শুরু হয়; যা চলবে ৩টা ৪০ পর্যন্ত। দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা-৪ থেকে ১৩ আসনের মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা সাবিরুল ইসলাম প্রচার কাজে প্রার্থীদের নির্বাচনী বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান। জবাবে প্রার্থীরাও দিয়েছেন বিধি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি।
ঢাকা-৮ আসনের ১০ প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন প্রার্থী বিভাগীয় কমিশনারের কাছ থেকে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। এই আসনের নৌকা প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের পক্ষে তার একজন প্রতিনিধি তার প্রতীক নেন।
এছাড়া ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মিনার, মুক্তিজোটের প্রার্থী মো. রাসেল কবির তাদের নির্ধারিত প্রতীক প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
ঢাকা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান মোল্লা সজল ‘ট্রাক’ প্রতীক বুঝে নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, “সরকার দলীয় যে প্রার্থীরা আছে তারা অতিরিক্ত সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। কিছুটা ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করে। যা আমি অবগত হচ্ছি। সেসব আমরা রেকর্ড আকারে সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশনার বরাবর অভিযোগ করব। “
অন্যদিকে ঢাকা-৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারুনুর রশিদ মুন্না ‘নৌকা’ প্রতীক পেয়ে সাংবাদিকদের বলেন, কোন দল কেমন সেটা ৭ তারিখেই প্রমাণ হয়ে যাবে।