অস্কারের জন্য সিনেমা নির্বাচনের ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের রুচির কথা মাথায় রাখার দরকার বলে মনে করেন এই সংগীতজ্ঞ।
Published : 18 Mar 2023, 12:25 PM
বিশ্ব চলচ্চিত্রে পরিসর কিংবা বাণিজ্যে হলিউডের পরের স্থানটি বলিউডের হলেও অস্কারে ভারতের পুরস্কার জয় আঙুলেই গুণে ফেলা যায়: কেন? এ আর রহমান বলছেন, সিনেমা নির্বাচনে ভুল হচ্ছে।
‘আরআরআর ’ সিনেমার ‘নাটু নাটু’ গানের অস্কার জয়ের মধ্যে এ আর রহমানের এই বক্তব্য আবার সামনে এল; ১৪ বছর আগে যার হাতে উঠেছিল অস্কার।
ভারতীয়দের হাতে প্রথম অস্কার এসেছিল ১৯৮৩ সালে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের ৫৫তম আসরে। সেবার গান্ধী সিনেমার কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে পুরস্কার জিতেছিলেন ভানু আথাইয়া। এরপর ১৯৯২ সালে সম্মান সূচক অস্কার পান চলচ্চিত্রের দিকপাল সত্যজিৎ রায়।
তার প্রায় দুই দশক পর ২০০৯ সালে ‘স্লামডগ মিলিওনেয়ার’ সিনেমায় ‘জয় হো’ গানের জন্য অস্কার পান সুরকার ও সংগীত পরিচালক এ আর রহমান।
এরপর আবার দীর্ঘ বিরতি দিয়ে এবারে ভারতকে একই ক্যাটাগরি মৌলিক গানে অস্কার এনে দিয়েছে সংগীত পরিচালক এমএম কিরাভানি ও চন্দ্রবোস।
এর মধ্যেই এ আর রহমানের পুরনো একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়, যে খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ওই ভিডিওতে এ আর রহমান আরেক কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক এল সুব্রামানিয়ামকে বলছেন, “ভারত থেকে যে ধরনের সিনেমা অস্কারে পাঠানো উচিৎ, তেমন সিনেমা যাচ্ছে না। সিনেমা নির্বাচনে ভুল হচ্ছে। পশ্চিমারা আমাদের দেশের ভালো সিনেমার রস-মান জানতে পারছে না।”
রহমান মনে করেন, সিনেমা নির্বাচনের সময় পশ্চিমাদের রুচির বিষয়টি ভাবতে হবে। শুধু ভারতের দিক ভাবলে হবে না।
এ আর রহমান এই সাক্ষাৎকারটি দেন তার জন্মদিনে গত ৬ জানুয়ারি। আর ‘নাটু নাটু’ অস্কার জিতেছে গত ১২ মার্চ লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের ৯৫তম অস্কার আসরে।
মৌলিক গানে ছাড়াও ভারতে স্বল্পদৈর্ঘ্য তথ্যচিত্র বিভাগেও অস্কার এসেছে এবার। দক্ষিণ ভারতে একটি হাতির সঙ্গে আদিবাসী দম্পতির মায়ার বন্ধনে জড়িয়ে যাওয়ার গল্পের অপূর্ব চিত্রায়নে পুরস্কার জিতেছে ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারারস’। ৪১ মিনিটের তথ্যচিত্রটি বানিয়েছেন কার্তিকি গনসালভেস।
এছাড়াও একই বিভাগে অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিল প্রবাসী বাঙালি নির্মাতা শৌনক সেনের ‘অল দ্য ব্রিদস’ সিনেমাটি।
জয় হো
হিন্দি সিনেমার পরিচালক সুভাষ ঘাই নির্মিত ‘যুবরাজ’ সিনেমার জন্য প্রথমে ‘জয় হো’ গানটি তৈরি করেছিলেন এ আর রহমান। অভিনেতা জায়েদ খানকে ভাবনায় রেখে গানটি বুনেছিলেন তিনি। কিন্তু সিনেমার সাথে গানটিকে বেমানান মনে হওয়ায় সেটি আর ব্যবহার করা হয়নি।
পরে গীতিকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা গুলজার এবং রহমানের অনুরোধে ড্যানি বয়েলের ‘স্লামডগ মিলিওনেয়ার’ সিনেমার জন্য গানটি ব্যবহার করার অনুমতি দেন সুভাষ।
৮২তম অস্কারের ওই অনুষ্ঠানে মনোনয়ন পাওয়া ১০টি বিভাগের মধ্যে ৮টিতেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয় স্লামডগ মিলিওনেয়ারকে। শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে পুরস্কার পেয়ে মঞ্চেও ‘জয় হো’ গানটি গেয়েও শোনান এ আর রহমান।
পুরনো খবর