চট্টগ্রামে শেষ হয়েছে প্রতিনিধি নাট্য সম্প্রদায়ের সপ্তাহব্যাপী নাট্যোৎসব।
প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছর উপলক্ষে ‘দ্রোহে প্রেমে সংগ্রামে, এসো নাটকের প্রাঙ্গণে’ স্লোগান নিয়ে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার সমাপনী পর্ব শুরু হয় বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমির অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, “স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের নাটককে এগিয়ে নিতে প্রতিনিধি নাট্য সম্প্রদায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।”
অনুষ্ঠানে নাট্যজন রবিউল আলম বলেন, “প্রতিনিধি বেশকিছু মৌলিক নাটক রচনা করেছে। প্রতিনিধির নাট্যকার প্রদীপ দেওয়ানজীর লেখা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটকগুলো প্রতিনিধিকে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছে।”
উৎসব উপলক্ষ্যে গ্রুপ থিয়েটারভুক্ত বিভিন্ন দলের অংশগ্রহণে শিল্পকলায় বসেছিল নাট্যকর্মীদের মিলন মেলা।
নাট্যোৎসব উদযাপন পর্ষদের আহ্বায়ক হাসান জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন অভিনেতা ম. সাইফুল আলম চৌধুরী এবং নাট্যকার, নাট্যনির্দেশক, অভিনেতা সনজীব বড়ুয়া।
অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে ওড়িশী অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার, চট্টগ্রাম এবং সঙ্গীত পরিবেশন করেন শংকর দে, হাসান জাহাঙ্গীর, শান্তা গুহ, আফরোজা জুলি। উৎসব ঘোষণা পাঠ করেন নাট্যকর্মী অঞ্চল চৌধুরী।
চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে উৎসবের সমাপনী সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় নাটক ‘পুণ্যাহ’। বদরুজ্জামান আলমগীর রচিত নাট্যকেন্দ্র প্রযোজিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন ইউসুফ হাসান অর্ক।
উৎসবের প্রথমদিন ২৭ জানুয়ারি ঢাকার দল সময় এর ‘ভাগের মানুষ’, ২৮ জানুয়ারি দেশ নাটক এর ‘পারপার’, ২৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামের প্রতিনিধি নাট্য সম্প্রদায়ের ‘অপেক্ষা’, ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দল পালাকার এর ‘উজানে মৃত্যু’, ৩১ জানুয়ারি ঢাকার চারুনীড়ম থিয়েটারের ‘আরশোলা, নানা রঙের দিন ও শরতের মেঘ মালা’, ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের ‘বীরাঙ্গনার বয়ান’ ও সাধনা নাট্য দলের ‘সীতার অগ্নিপরীক্ষা’ মঞ্চস্থ হয়।