সালমান খানকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Published : 30 Oct 2024, 09:31 AM
একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলিউডি তারকা অভিনেতা সালমান খানকে। এবার শুধু সালমান নন, কিছুদিন আগে গুলিতে নিহত মুম্বাইয়ের তিনবারের বিধায়ক বাবা সিদ্দিকীর ছেলে জিশান সিদ্দিকীও এই হুমকি তালিকায় যুক্ত হয়েছেন।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, সালমান ও জিশানকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে উত্তর প্রদেশের নয়ডা থেকে ২০ বছর বয়সী এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম গুরফান খান। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় মুম্বাই পুলিশ।
মুম্বাই পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় জিশান সিদ্দিকীর অফিসে একটি বার্তা পাঠানো হয়। সেখানে মুক্তিপণ না দিলে সালমান খান ও জিশানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
জিশান সিদ্দিকীর অফিসের এক কর্মচারী এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন এবং একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। পুলিশ পরে হুমকির মূল হোতা হিসেবে মোহাম্মদ তৈয়ব নামে একজনকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে।
এর আগে মুম্বাই পুলিশ জামশেদপুরের ২৪ বছর বয়সী সবজি বিক্রেতা শেখ হুসেন শেখ মহসিনকে গ্রেপ্তার করে সালমান খানকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে। মহসিন মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইনে ৫ কোটি রুপি মুক্তিপণ দাবি করে হুমকির বার্তা পাঠিয়েছিলেন।
গত ১২ অক্টোবর মুম্বাইয়ের শহরতলি বান্দ্রায় দশেরার বাজি ফোটানোর সময় তিনবারের বিধায়ক বাবা সিদ্দিকীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে কুখ্যাত বিষ্ণোই গ্যাং।
সালমানের সঙ্গে বাবা সিদ্দিকীর ঘনিষ্ঠতার কারণে এই হত্যাকাণ্ডে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সম্পৃক্ততা নিয়ে সন্দেহ করছিল পুলিশ।
এই লরেন্স বিষ্ণোই সালমানকে বছরের পর বছর ধরে কেবল লাগাতার খুনের হুমকি দিয়েই চুপ থাকেনি, নিজে কারাবন্দি থাকলেও নায়কের বাড়ির সামনেও কয়েক মাস আগে গুলি ছুড়ে পালিয়েছে তার দলের লোকেরা।
এবং সোশাল মিডিয়ায় তার দলের পক্ষ থেকে একাধিকবার সালমানকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘এর শেষ দেখে ছাড়বে তারা’।
এর মধ্যে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। সুখবীর বলবীর সিং (সুখা) নামের ওই ব্যক্তিকে হরিয়ানার পানিপতে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনিও সালমান খানকে হত্যার একটি ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
পুলিশ বলছে, সালমানকে খুন করতে সুখা পাকিস্তানের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিকল্পনা করে একে-৪৭, একে-৯২ এবং এম-১৬ রাইফেল আনিয়েছিলেন পাকিস্তান থেকে।