বুড়িগঙ্গা সংলগ্ন তিনটি স্থান দখলমুক্ত করার নির্দেশ

বুড়িগঙ্গা নদীর সীমানায় শ্যামবাজার, বীনা স্মৃতি ঘাট (ওয়াইজ ঘাট) ও বাদামতলী ঘাট এলাকা অবৈধ দখলমুক্ত করতে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে হাই কোর্ট।

একটি আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে রোববার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

এই আদেশ বাস্তবায়ন করে ঢাকার জেলা প্রশাসক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (বন্দর) এবং কোতয়ালি, সূত্রাপুর ও শ্যামপুর থানার ওসিকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে আগামী ১১ ডিসেম্বর পরবর্তী আদেশ দেওয়া হবে।

এছাড়া ওই তিন এলাকায় নদী দখল বন্ধে প্রশাসনকে প্রতি তিন মাস অন্তর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে হাই কোর্ট।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহার হোসেন সাজু।

মনজিল মোরসেদ শুনানিতে বলেন, ২০০৯ সালের জুন মাসে হাই কোর্ট বুড়িগঙ্গা নদীর অভ্যন্তরে দখল ও নির্মাণকাজ উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনও অবৈধভাবে দখলকারীরা বুড়িগঙ্গা নদীর জায়গায় স্থাপনা করে বহাল তবিয়তে আছে, যা অপসারণ না করলে রায় বাস্তবায়ন হবে না এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে।

পরে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত শুনানি শেষে বুড়িগঙ্গা নদী সীমানার শ্যামবাজার, বীনা স্মৃতি ঘাট (ওয়াইজ ঘাট), বাদামতলী ঘাটে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না মর্মে রুল জারি করেছে।”

পরিবেশ সচিব, নৌ-পরিবহন সচিব, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (বন্দর) এবং কোতয়ালি, সূত্রাপুর ও শ্যামপুর থানার ওসিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।