সোমবার বিকালে আফতাবনগরে ভোটের প্রচারের ফাঁকে ব্যবসায়ী নেতা আতিকের চা বিক্রেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার ছবি ও ভিডিও এখন সোশাল মিডিয়ায় আলোচনার খোরাক।
রামপুরা থেকে গণসংযোগ করে আফতাবনগরের দিকে যাচ্ছিলেন নৌকার প্রার্থী আতিক। এ সময় একটি টং দোকানে ঢুকে গিয়ে বসে যান চা বানাতে।
নিজের বানানো চা নিয়ে হাঁকও ছাড়েন- ‘এই চা, চা, মালাই চা, কে খাবেন?’
মেয়রপ্রার্থীর বানানো চা হাতে তুলে নিতে শুরু করেন থাকেন সঙ্গে থাকা কর্মী, সমর্থক ও দোকানে বসে থাকা লোকজন। এ সময় আতিকের চা বানানো দেখে অনেকে দারুণ কৌতূহলে ভিড় করেন ওই চা দোকানের সামনে। অনেকের মোবাইল ফোন সচল হয় ভিডিও ধারণে।
ইয়াসিন নামে একজনের টং দোকানে বসে আতিক মোট আট কাপ চা বানান। নিজের বানানো চা পরিবেশন করে বেরোনোর সময় ইয়াসিনকে ৮০০ টাকা দেন এই মেয়রপ্রার্থী।
তার এই চা বানানোর ভিডিও ফেইসবুকে তুলে তার সমর্থকরা যেমন প্রশংসা করছেন; তা দেখে অনেকে আবার ‘স্টান্টবাজি’ বলে সমালোচনাও করছেন।
তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিক আকস্মিকভাবে রাজনীতিতে নেমে গত বছর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসেন।
এবার নিয়মিত নির্বাচনেও তার উপর ভরসা রেখেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ; ফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে আবারও ভোটপ্রার্থী হয়েছেন তিনি।
৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে শুরু থেকেই ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন আতিক; সোমবার খিলগাঁও তালতলা এলাকা থেকে জনসংযোগ শুরু করে আবুল হোটেল, রামপুরা হয়ে আফতাব নগর পেরিয়ে বাড্ডার বিভিন্ন এলাকায় ভোট চান তিনি।
তালতলা এলাকায় প্রচার শুরুর আগে আতিক বলেন, “আমি গত নয় মাস যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রথমেই মাদকমুক্ত ঢাকা শহর গড়ে তুলতে কাজ শুরু করব, যদি আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। এছাড়া সন্ত্রাস-দুর্নীতিমুক্ত, নারীবান্ধব সবুজ ও সচল ঢাকা গড়ার কাজ করব।”
শিশুদের খেলাধুলার পরিবেশ তৈরিতে ঢাকার মাঠগুলো উদ্ধারের প্রতিশ্রুতিও দেন ক্ষমতাসীন দলের এই প্রার্থী।
“সুন্দর প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য তাদের ঘর থেকে বের করে মাঠে আনা দরকার। এজন্য যেখানে যত মাঠ দখল করে রাখা হয়েছে সেগুলো আমরা উদ্ধার করব। মাঠ কারও নিজের সম্পত্তি নয়, মাঠ হবে রাজধানীর সবার।”