এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে দিতে হবে টোল। ২০২৬ সালে শেষ হবে প্রকল্পের কাজ।
Published : 03 Aug 2023, 01:22 PM
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) আওতায় রামপুরা থেকে আমুলিয়া হয়ে ডেমরা পর্যন্ত ১৩.৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ২৬ কোটি ১০ লাখ ডলারের মূলধন সংগ্রহ করে দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক।
এর মধ্যে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক, ব্যাংক অফ চায়না, ডিবিএস ব্যাংক লিমিটেড, এবং বাংলাদেশের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড ১৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার ঋণ হিসেবে দিচ্ছে। বাকি ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার ইক্যুইটি হিসেবে উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে আসবে।
এ প্রকল্পের কাঠামো পরিকল্পনা, অর্থায়নের আলোচনা, দরপত্র নিষ্পত্তি এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পরামর্শ সহায়তা দিচ্ছে এডিবি।
এডিবি অফিস অব মার্কেটস ডেভেলপমেন্ট ও পিপিপির প্রধান ক্লেও কাওয়াওয়াকি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা এই এক্সপ্রেসওয়ের নকশা করা, নির্মাণ, অর্থায়ন, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ আকর্ষণ, অংশীদার সংগ্রহে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করেছি।”
চার লেইনের এই এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, সিলেটসহ বাংলাদেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব জেলাগুলোর যোগাযোগ উন্নত করার পাশাপাশি যাত্রীদের দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর সুযোগ করে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় এই সড়কটি নির্মাণ করবে কনসোর্টিয়াম অব চায়না কমিউনিকেশনস কন্সট্রাকশন কম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসিএল) এবং চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন (সিআরবিসি)।তারাই এর ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে।
এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে দিতে হবে টোল। ২০২৬ সালে শেষ হবে প্রকল্পের কাজ। এক্সপ্রেসওয়ের ৯.৫০ কিলোমিটার হবে উড়াল পথ।
রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়কটি পিপিপি ভিত্তিতে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ২০১৫ সালে প্রস্তাব তৈরি করা হয়। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের পাঠানো এই প্রস্তাবে ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি সম্মতি দেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।