এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এর চেয়ে কম ১১ দশমিক ৪৮ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল।
Published : 22 Nov 2022, 12:20 AM
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় উন্নয়ন কার্যক্রমে সরকার যে বরাদ্দ দিয়েছে, অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে এর মাত্র ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে।
টাকার অঙ্কে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে এর পরিমাণ প্রায় ৩২ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা বলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এডিপি বাস্তবায়নের হালনাগাদ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এর চেয়ে কম ১১ দশমিক ৪৮ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল। তার মানে গত ৭ বছরের মধ্যে এবারই এসময়ে সবচেয়ে কম এডিপির অর্থ ব্যয় হয়েছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য সরকার প্রায় দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকার এডিপি বাস্তবায়ন করছে।
অর্থবছরের প্রথম চার মাস পর্যন্ত এডিপির অর্থ ব্যয়ে পিছিয়ে থাকার বিষয়ে আইএমইডি’র ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম থেকেই বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের উদ্যোগ থাকায় বিদেশি পণ্য আমদানি করতে হয়- এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে।
“আবার অনেক সময় প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ঠিক থাকলেও প্রকল্পের অর্থ ছাড় না হাওয়ার কারণেও বাস্তবায়ন কম দেখানো হয়। সেই রকম কয়েকটি প্রকল্পও আছে।”
আইএমইডি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রাপ্ত ১৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৩৭ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে সেতু বিভাগ। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করেছে সবচেয়ে কম ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ বরাদ্দ।
এতে দেখা যায়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ বাস্তবায়ন করতে পেরেছে বরাদ্দের মাত্র ৬ শতাংশ। বিভাগটির উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য চলতি অর্থবছর ১৫ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকার বরাদ্দের বিপরীতে চার মাসে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯৬০ কোটি টাকা।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বাস্তবায়ন কম হওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন অনু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল্লাহিল আজম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিভাগটির বেশ কয়েকটি প্রকল্পের দরপত্র চলতি মাসে চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হলে অর্থ ছাড় শুরু হবে।
কয়েকটা বড় প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন জানিয়ে তিনি বলেন, “এর মধ্যে একটি বড় প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাব থাকায় ওই প্রকল্পের ব্যয় হওয়া অর্থও আমরা এখন দেখাতে পারছি না। শিগগিরই প্রকল্পটির সংশোধনী অনুমোদন পেলে বাস্তবায়ন বেড়ে যাবে।”
আইএমইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশি বরাদ্দ পাওয়া মন্ত্রণালয়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বাস্তবায়ন করেছে ২১ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগ প্রায় ২০ শতাংশ, রেলপথ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করেছে প্রায় ১৬ শতাংশ।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ও কৃাষ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করেছে ১৩ শতাংশ। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করতে পেরেছে প্রায় ১১ শতাংশ; আর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করতে পেরেছে মাত্র ১০ শতাংশ। বেশি বরাদ্দের ১৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে আর কেনোটিই ১০ শতাংশের বেশি বাস্তবায়ন করতে পারেনি।