গত ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকে তৌহিদুলের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়ে তাকে এমডি নিয়োগের আবেদন করেছিল ন্যাশনাল ব্যাংক।
Published : 25 Jan 2024, 09:57 PM
নিজেদের চাহিদা মতো তৌহিদুল আলম খানকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডি নিয়োগ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেয়েছে ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় জেরবার ন্যাশনাল ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার নতুন দায়িত্বে যোগ দিয়েছেন তিনি, যিনি এর আগে বেসরকারি প্রিমিয়ার ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
১৯৯৩ সালে অগ্রণী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা তৌহিদুল ব্যাংকিং খাতে ৩১ বছরের অভিজ্ঞ। তিনি প্রাইম, ব্যাংক এশিয়া, মধুমতি ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে কাজ করেছেন।
গত ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকে তৌহিদুলের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়ে তাকে এমডি নিয়োগের আবেদন করেছিল ন্যাশনাল ব্যাংক। পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহারের নেতৃত্বে গঠিত সেই কমিটি তৌহিদুলের ‘সাক্ষাৎকার’ও নিয়েছিল।
এর আগের এমডি হিসেবে মেহমুদ হোসেন মেয়াদ শেষ করলে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আখতার উদ্দিন আহমেদকে ভারপ্রাপ্ত এমডি করে চলছিল ন্যাশনাল ব্যাংক।
সোয়া তিন হাজার কোটি টাকা লোকসান ন্যাশনাল ব্যাংকের
ঋণ নিয়মাচার ও বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে ঋণ অনুমোদনসহ ডজন খানেক অভিযোগে গত ২১ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ বাতিল করে স্বতন্ত্র পরিচালকদের সংখ্যা বাড়িয়ে নতুন পর্ষদ নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নিয়োগ পাওয়া স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্যে থেকে ড. সৈয়দ ফরহাদ আনোয়ারকে চেয়ারম্যান করা হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দেওয়া অনিরীক্ষিত প্রতিবেদনে ব্যাংকটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালের গত সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটি লোকসান গুনেছে এক হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ হয়নি। ২০২২ সালে ব্যাংকটি তিন হাজার কোটি টাকার বেশি লোকসান দেয়।