Published : 02 Aug 2023, 11:43 AM
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ফিচ তাদের ঋণমানে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘এএএ’ থেকে এক ধাপ নামিয়ে ‘এএ+’ রেটিংয়ে বসিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক দশা এবং ঋণের বোঝা নিয়ে উদ্বেগের কারণে দেশটির সরকারের ক্রেডিট রেটিং কমিয়ে দিয়েছে ফিচ।
বিশ্বব্যাপী মুডি’স, এসঅ্যান্ডপি ও ফিচ– এ তিন মার্কিন কোম্পানির নির্ধারিত ঋণমানের গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন ঋণমান নির্ধারণ করে ফিচ বলেছে, গত ২০ বছর ধরেই তারা মার্কিন প্রশাসনে ‘সুশাসনের ধারাবাহিক অবক্ষয়’ লক্ষ্য করছে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন ফিচের এই সিদ্ধান্তকে ‘খামখেয়ালি’ বলছেন। তার দাবি, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের ‘পুরনো ডেটা’র ওপর ভিত্তি করে ওই রেটিং দিয়েছে ফিচ।
কোনো দেশকে ঋণ দেওয়া কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, তা বোঝার জন্য বিনিয়োগকারীরা ক্রেডিট রেটিংকে একটি মানদণ্ড হিসাবে ব্যবহার করেন। অর্থনীতির আকার এবং স্থিতিশীলতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি ‘অত্যন্ত নিরাপদ বিনিয়োগ’ হিসাবেই বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে মার্কিন সরকারের ঋণসীমা নিয়ে এ বছরও রাজনৈতিক টানাপড়েন দেখেছে বিশ্ব।
ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বিরোধী দলে থাকা রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে টানা কয়েক সপ্তাহের দর কষাকষি শেষে গত জুনে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ঋণসীমা ৩১.৪ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রস্তাব অনুমোদন করে দেশটির কংগ্রেস। সে সময় ওই সমঝোতা সম্ভব না হলে ঋণে খেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ত যুক্তরাষ্ট্র।
গ্রীষ্মকালীন অবকাশ থেকে ফিরে কংগ্রেস যখন আবার অধিবেশনে আসবে, তখন দেশটির আইন প্রণেতাদের আগামী বছরের বাজেট নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে। আর সেটা করতে হবে সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ার আগেই, তা না হলে যুক্তরষ্ট্রের সরকারি কর্মকাণ্ড বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে।