তামাকজাত পণ্য ব্যবহার বন্ধে বিদ্যমান কর কাঠামোর পরিবর্তনেরও দাবি ওঠেছে।
Published : 18 Mar 2023, 04:08 PM
তামাকজাত পণ্য থেকে পাওয়া রাজস্ব আয়ের থেকে এর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে স্বাস্থ্য খাতে সরকারকে বেশি ব্যয় করতে হয় বলে দাবি করেছেন তামাকবিরোধী জোটের আহ্বায়ক কাজী খলীকুজ্জমান।
২০৪০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার বন্ধ করতে বিদ্যমান কর কাঠামোর পরিবর্তনেরও দাবি জানান অর্থনীতির এই শিক্ষক।
শনিবার ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে তামাকবিরোধী দুটি সংগঠন প্রজ্ঞা ও আত্মার উদ্যোগে আয়োজিত ‘কেমন তামাক কর চাই’ শীর্ষক প্রাকবাজেট সংবাদ সম্মেলনে খলীকুজ্জমান বলেন, তামাক থেকে সরকার বছরে ২০ থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা আয় করে। কিন্তু তামাকের কারণে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট খাতে সরকারের ব্যয় হচ্ছে বছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা।
“সরকার যদি এখনই তামাক পণ্য থেকে কোনো রাজস্ব না নেয়, তাহলে বছরে সাশ্রয় হবে ৮ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা।”
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণার বাস্তবায়ন করতে হলে তামাকের বিদ্যমান কর কাঠামোর পরিবর্তন করা অত্যন্ত জরুরি।”
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মো. হাসান শাহরিয়ার।
তিনি সেখানে বলেন, এনবিআরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০৬- ২০০৭ সালে সিগারেটের নিম্ন স্তরে মার্কেট শেয়ার ছিল ২৫ শতাংশ যা ২০২০-২১ সালে ব্যাপকভাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশে। ত্রুটিপূর্ণ কর কাঠামোর কারণেই এটা হয়েছে। এজন্য সকল সিগারেটের ব্রান্ডে অভিন্ন কর নির্ধারণ ও খুচরা মূল্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক কমপক্ষে ৬৫ শতাংশ নির্ধারণ, জর্দা ও গুলে ৬০ শতাংশ এবং বিড়িতে নুন্যতম শুল্ক ৪৫ শতাংশ নির্ধারণ করা জরুরি।
নিম্ন স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করে ৩৫ দশমিক ৭৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক (চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬৫%) আরোপের দাবি জানান শাহরিয়ার।
এভাবে স্বল্প আয়ের তামাক ব্যবহারকারীকে ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত হবে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডির রিসার্চ ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) রিসার্চ ডিরেক্টর মাহফুজ কবীর, ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস- এর বাংলাদেশ লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্য দেন।