সেখানে ২৫-৪০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ থাকার কথা ধারণা করা হচ্ছে।
Published : 24 May 2024, 08:25 PM
সিলেটের কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রের নতুন অনুসন্ধান কূপ কৈলাসটিলা-৮ খনন শেষে গ্যাসের মজুদ পাওয়ার কথা জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)।
এই কূপে ৩৫০০ মিটার পর্যন্ত খনন সম্পন্ন করার পর গ্যাসের সন্ধান মেলে বলে শুক্রবার কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে।
ডিএসটি ফল অনুযায়ী, কূপটি থেকে দৈনিক প্রায় ২১ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হবে। আর ফ্লোয়িং ওয়েল হেড প্রেসার ৩৩৮৩ পিএসআই।
রাষ্ট্রীয় পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধান সংস্থা বাপেক্সের বিজয়-১২ রিগ ব্যবহার করে গত ১১ জানুয়ারি কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রের অষ্টম কূপে খনন কাজ শুরু হয়। পরের মাসে সেই খনন কাজ পরিদর্শন করেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস জানিয়েছে, কূপের ৩৫০০ মিটার গভীরতায় নতুন গ্যাস স্তর বা হরাইজন-৪ এর ৩৪৩৮-৩৪৪৭ মিটার গভীরতায় পারফোরেশন করে শুক্রবার ড্রিল স্টেম টেস্টিং (ডিএসটি) পরিচালনা করা হয়।
কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রে উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদ আছে ১৯০০ বিলিয়ন ঘনফুট। এখন কৈলাসটিলা-৮ নম্বর কূপে আরও ২৫-৪০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ থাকার কথা ধারণা করা হচ্ছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ১৬২০ কোটি টাকা (প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য ২২.৮৭ টাকা বিবেচনায়)।
কৈলাসটিলা-৮ নম্বর কূপ খনন প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৭২ কোটি টাকা।
গ্যাস গ্যাদারিং পাইপলাইন নির্মাণ শেষে আগামী তিন মাসের মধ্যে কৈলাসটিলা-৮ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক প্রায় ২১ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড।